পিন নম্বর মনে না থাকায় এতিম এক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা হারাতে বসেছিলেন নানী লাল ভানু। গাংনী সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রীর উপবৃত্তির টাকা বিকাশ থেকে তুলতে গিয়ে ছিলেন নিজ গ্রাম পূর্বমালসাদহ গ্রামের তোমা রমা নামের একটি বিকাশ দোকানে। দোকান মালিক মাসুদের কাছে গিয়ে পিন নম্বর মনে না থাকায় তিনি দোকান মালিক মাসুদকে বলেন, এর আগেও দু’বার তুলেছো যদি পারো তুলে দাও। এই সুযোগে কৌশলে নিজের নম্বরে ১২শ টাকা সেন্ড মানি করে হাতিয়ে নেন এবং তাকে বলেন বিকাশে টাকা নেই। টাকা আসার পরেও বলে টাকা নেই হতাশা নিয়ে ফিরে যান নানী লাল ভানু। তবে স্থানীয় কয়েক জনের কাছে জানালেও স্থানীয়রা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়নি। ফলে উপবৃত্তির টাকা হারায় শিক্ষার্থী।
গাংনী পৌরসভাধীন পূর্বমালসাদহ গ্রামের লালভানু জানান, তার বিকাশ নম্বর থেকে গ্রামের মোড়ের দোকানদারে কাছে এই মাসে আগে দুই দিন টাকা তুলেছি। একবার ৬শ তার পরের বার ১২শ, তারপরের বার ১২শ টাকা তুলতে যাওয়ার সময় পিন নম্বর নিতে মনে ছিল না। দোকানদার মাসুদকে বললাম পিন নম্বর নিয়ে আসা হয়নি এর আগে তুমি তুলেছো মনে থাকলে একটু তুলে দাও। তখন সে ফোন নিয়ে কি করলো তারপর ফোন দিয়ে বললো টাকা নেই। পরে আমি তার চাচাকে দেখালে সে বলে ফোনে টাকা নেই। এইসব নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হলে মাসুদের চাচা এসে শুক্রবার সন্ধ্যায় ৫শ টাকা দিয়ে যায়। সে সময় তিনি বলেন আমিতো যাকাত দেই তুমি নাতনীর জন্য এই টাকাটা রাখো আবার টাকা দিবো। শনিবার বিকেলে সেই ব্যাক্তি আরও ৭শ টাকা দিয়ে মোট ১২শ টাকা দিয়েছেন।
লালভানুর মোবাইল বিকাশের ম্যাসেজে দেখা যায় এপ্রিলের ২৪ তারিখে একটি বিকাশ নম্বরে সেন্ড মানি করে ৬শ টাকা,২৬ তারিখে অন্য একটি বিকাশে সেন্ডমানি করা হয়েছে ১২শ ও ২৭ তারিখেও সেন্ডমানি করা হয়েছে। ২৪ তারিখে যে নম্বরে সেন্ডমানি করে মাসুদ লালভানুকে ৬শ টাকা দিয়েছিলেন একই নম্বরে। কিন্তু সেন্ডমানি করে টাকা নিলেও বৃদ্ধা লালভানুকে টাকা না দিয়ে বলে দেন বিকাশে টাকা নেই। অথচ ঘটনার জানাজানি হলে মাসুদের চাচা মোট ১২শ টাকা দিয়ে বলেন আমিতো যাকাত ফেতরা দেই এটা দিয়েই তোমার নাতনীকে জামা কাপড় কিনে দিও।