মেহেরপুরের গাংনীতে বিনা চিকিৎসায় পাতানী খাতুন (৭০) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু’র অভিযোগ করেছে তার স্বজনরা। সোমবার দুপুর একটার দিকে গাংনী হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। পাতানী খাতুন উপজেলার ষোলটাকা গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের স্ত্রী।
পাতানী খাতুনের ছেলে আওয়াল হোসেন বলেন,তার মা উচ্চ রক্তচাপের রুগি। হঠাৎ মায়ের পেসার নেমে গেলে তাকে গাংনী হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেয়া হয়।
জরুরী বিভাগের চিকিৎসক গণ রুগির করোনা সংক্রমণ আছে সন্দেহে এক ঘন্টারও বেশি চিকিৎসা না দিয়ে বসিয়ে রাখেন। অনেক অনুনয় বিনয়ের পর একটি বেসরকারী ডায়াগোনেস্টিক সেন্টারে ইসজি করাতে বলায় আমরা তা করে আনি।
অতপর মাকে আবারো হাসপাতালে নিয়ে অক্স্রিজেন দেওয়ার মাত্র ১ মিনিট পরই খুলে নেয়া হয়। এর পরপরই মায়ের মৃত্যু হয়। আমরা এর বিচারের দাবিতে লাশ নিয়ে শহীদ মিনারে অনশন করতে চেয়েছিলাম। তবে গাংনী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দিলে লাশ বাড়িতে নেয়া হয়।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যান কর্মকর্তা ডাঃ রিয়াজুল আলম বলেন, রুগিকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পর অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। রুগির স্বজনরা কুষ্টিয়া নিতে গড়িমসি করায় তার মৃত্যু হয়।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন,যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে অবগত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়।
মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নাসির উদ্দীন বলেন,রুগির হার্টে সমস্যা ছিলো বলে জানতে পেরেছি। প্রাথমিক চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে। পরে রেফার্ড করা হলে তারা রুগি কুষ্টিয়া নিতে দেরি করায় ওই মৃত্যু’র ঘটনা ঘটে। তবে চিকিৎসায় কোন গাফিলতি থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ আতাউল গনি বলেন,গাংনী হাসপাতালে কেন রুগিদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছেনা ও মৃত্যু’র ঘটনা ঘটছে এ বিষয়ে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনকে বলা হয়েছে।