মেহেরপুরে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায় করলেন, মুসল্লিরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে, গাংনী উপজেলা শহরের ফুটবল মাঠে এই নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। এতে ইমামতি করেন গাংনী মাদ্রাসা মসজিদের ইমাম মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ।
দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, দারুসসালাম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন। এই নামাজে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এমএ খালেক, দারুচ্ছুন্নাত মসজিদের ইমাম মাওলানা আমানুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
নামাজ শেষে, মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে খুতবা দেন গাংনী দারুচ্ছুন্নাত মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন।
এরপরই, বৃষ্টির আশায় হয় বিশেষ মোনাজাত। কান্নাজড়িত কণ্ঠে আল্লাহর কাছে দাবদাহ থেকে মুক্তি চান মুসল্লিরা। একইসাথে, বৃষ্টির মাধ্যমে সারাদেশে শীতল স্পর্শ বুলিয়ে দেয়ার দোয়াও করেন তারা। নামাজ শেষে, মুসল্লিরা বলেন- বৈশ্বিক জলবায়ু পরিস্থিতি ভালো না। মানুষের সুস্থতার জন্যেই বৃষ্টির আশায় তারা আদায় করেছেন এই নামাজ। আরও বলেন, বনায়ন ধ্বংসের কারণে প্রতিবছর তাপমাত্রা বাড়ছে। পৃথিবী রক্ষায় এখনই সচেতন হতে হবে।
মেহেরপুর জেলা জুড়ে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বেশ কিছুদিন যাবৎ তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা বইছে। গাংনী উপজেলায় তীব্র তাপদহে দুজন মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গাংনী উপজেলার রুইয়েরকান্দি গ্রামের শিল্পী খাতুন (৪৫) ও গাঁড়াডোব গ্রামের আব্দুল বারী হিট স্ট্রোকে মারা গেছেন।
তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির জন্য গাংনীতে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন।
এসময় গাংনী পৌর শহরের বিভিন্ন মুসল্লীরা ইস্তিসকার নামাকে উপস্থিত হয়ে নামাজ শেষে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন।