গাংনীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্রদের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা সন্ত্রাস দমন আইনের মামলায় দুই দফায় ২১ আসামিকে ৮ সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
আজ বুধবার বিকালে হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান এবং মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ ৯ জন নেতাকর্মীকে ৮ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে মেহেরপুর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গতকাল ১৮ মার্চ একই বেঞ্চের বিচারক এই মামলার ১২ আসামিকে ৮ সপ্তাহের জামিন দেন।
আগাম জামিন প্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন সেপু, ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন পাশা, বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল, গাংনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মজিরুল ইসলাম মিয়া, সাবেক ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু, গাংনী পৌর যুবলীগের দফতর সম্পাদক জুবায়ের হোসেন উজ্জল, সাবেক ছাত্রনেতা বিপ্লব হোসেন, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ রাজু আহম্মেদ, সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আশিকুজ্জামান পিন্টু, ওবাইদুল ইসলাম, রেজাউল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা ইয়ারুল ইসলাম ও রাশিদুল ইসলাম। মামলায় আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট হুমায়ুন কবির।
উল্লেখ্য, গাংনী পৌর সভার চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা সাবেক সেনা সদস্য জুলফিকার আলী ভূট্টোর ছেলে ইমন বাদী হয়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী সংগঠণের ৩৫ জনকে এজাহার নামীয় ও ১০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সন্ত্রাস দমন আইন ২০০৯ সালের (সংশোধনী ২০১২) এর ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)(ক)/৭(ক)(খ)/১০/১১/১২/১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০২/২৪ ইং, গাংনী থানার মামলা নং ১১, তারিখ ১৯/০৮/২৪ ইং জিআর মামলা নং ২২৭/২৪ ইং। মামলাটি বর্তমানে আমলী আদালত গাংনীতে বিচারাধীন রয়েছে।
মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ বলেন, হাইকোর্টেও বেঞ্চে জামিনের জন্য আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক মামলার আসামিদের মধ্যে দুই দিনে ২১ আসামিকে ৮ সপ্তাহের অন্তবর্তিন জামিন দিয়েছেন।