মায়ের সম্পত্তির দখল চাওয়ায় ভাগ্নে জামারুল ইসলাম (২৬) কে ধারালো হাসুয়া দিয়ে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো মামা।
আজ সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে গাংনী উপজেলার হিজলবাড়িয়া গ্রামে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ঘাতক মামা আবুল কালাম পালিয়ে গেছে।
নিহত জামারুল ইসলাম হিজলবাড়িয়া গ্রামের মধ্যপাড়া এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। সে সম্প্রতি সৌদি প্রবাস ফেরৎ। বর্তমানে পেশায় ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান চালক।
ঘাতক মামা আবুল কালাম একই গ্রামের সাবদাল বিশ্বাসের ছেলে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, খবর পেয়ে গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামান সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌছেছেন।
নিহতের বোন সাজেদা খাতুন জানান, আমার নানা সাবদাল বিশ্বাস ও নানী মারা গেছেন অনেক আগে। মা মমতাজ খাতুন নানা নানীর কাছে থেকে বাড়ির জমি ২ কাঠা ও মাঠান জমি ৩ কাঠা ভাগ পেয়েছে। জমি ভাগ হলেও মামা আবু কালাম জমির দখল দেননি দীর্ঘদিন। আজকে আমার ভাই জামারুল ইসলাম জমির দখলদার মামা আবুল কালামের কাছে জমি দখল দেওয়ার অনুরোধ করতে যান। এসময় মামা ক্ষিপ্ত হয়ে ধারালো হাসুয়া দিয়ে বাম পায়ে একটি কোপ মেরে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুমাইয়া ইসলাম পাপড়ি তাকে মৃতু ঘোষণা করেন।
সুমাইয়া ইসলাম পাপড়ি জানান, অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মারা গেছেন তিনি।
গাংনী থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, নিহত জামারুল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে। তিনি আরও বলেন, ঘাতক আবুল কালামকে আটক করতে পুলিশ অভিযানও চালাচ্ছে।