মেহেরপুরের গাংনীতে সমাজ সেবা কর্তৃক প্রাপ্ত ভাতাভোগিদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ভাতা প্রদান করা হবে। আজ রোববার এর উদ্বোধন করেন সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি।
ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে সেবা প্রান্তজনে বয়ষ্ক, বিধবা ও স্বামী নিগৃহিতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীদের বিকাশের মাধ্যমে মোবাইলে হিসাব খোলা কার্যক্রমের উদ্ধোধন কালে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিকাশ কিংবা রকেটে মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা জালিয়াতি হচ্ছে। কোন মাসের টাকা কোন মাসে পাওয়া যায় তারও কোনো ঠিক নাই।
ব্যাংকে টাকা তুলতে গেলে সারাদিন পরে হলেও টাকা হাতে পেয়ে খুশিতে আত্নহারা হয়ে বাড়ি ফেরেন একজিন ভাতা গ্রহিতা। অথচ মোবাইলের মাধ্যমে যারা টাকা পাবেন এমন লোকও আছে যারা নিজের মোবাইলের নাম্বার টাও বলতে পারেননা। এমন কি টাকার ম্যাসেজ পাঠানো হলেও ভাতাভোগী বুঝে উঠবেননা তিনি টাকা পেয়েছেন কিনা। তিনি সঠিক সময়ে টাকা না পেলে বা টাকার পরিমাণ কম পেলে অভিযোগ করা বা তা খন্ডন করার কেউ থাকবেনা। বরং ভাতাভোগী নানা বিড়ম্বনায় পড়বেন। হবেন প্রতারিত।
ইতো-মধ্যে সরকারের করোনা কালীন সময়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানে নানা টালবাহানা করেছে বিকাশ বা অন্যান্য মোবাইল কোম্পানী। কার টাকা কার মোবাইলে গেছে তা দেখার বা বলার কেউ নেই।
এছাড়াও উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ক্ষেত্রেও নানা অসুবিধা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। বিকাশ কোম্পানী সরকারের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সে টাকা সঠিক ভাবে প্রদান করেননি এমন অহরহ ঘটনা আছে আমাদের দেশে।
এঅবস্থায় অনেক কোম্পানীর লোকজন বিভিন্ন অফার বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধার কথা বলে সরকারি টাকা প্রদানের চুক্তি নিচ্ছেন বটে, কিন্তু তাতে বাড়ছে প্রতারনা ও বিড়ম্বনা। আর এসকল কাজ যারা সরকারে কাছ থেকে চুক্তির প্রস্তাবনা দিচ্ছেন তারা না বুঝে প্রস্তাব দিচ্ছেন বলেও মন্তব্য করেন এ সাংসদ। এমন কাজ কর্মে বুঝে শুনে প্রস্তাবনা দেয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাকে সজাগ থাকারও আহব্বান করেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরএম সেলিম শাহনেওয়াজের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাঃ ফজলে রাব্বি।
অনুষ্ঠানে ৪০ জন ভাতাভোগি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। গাংনীতে ২ হাজার ভাতাভোগি বিকাশে হিসাব খুলবেন বলে জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার কাজি মোঃ আবুল মনসুর।