গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা এইচ.বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদ।শিক্ষক নিবন্ধন ছাড়া এবং নিয়োগ ছাড়াই শ্বশুর প্রাক্তণ প্রধান শিক্ষক ও তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মামা শ্বশুরের বদৌলতে সীল স্বাক্ষর জাল করে সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসাবে এমপিও করে বেতন ভুক্ত হয়।
জানা গেছে,২০০২ সালে সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে অবৈধ নিয়োগ গ্রহণ করেন। গাংনী উপজেলার দুর্নীতিবাজ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসারের যোগসাজশে ভূঁয়া কাগজ পত্র শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করে বৈধতা নেয়ার চেষ্টা করে।
তার নিয়োগ বিধি মোতাবেক কাম্য যোগ্যতা ও অভিজ্ঞা না থাকায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর তাকে বেতন বাতিল করে। যার পক্ষে বৈধ কাগজ পত্র না থাকায় রাজু আহমেদ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০০৭ সালে আবারও অফিসকে ম্যানেজ করে অবৈধভাবে পুনরায় নিয়োগ ও নিবন্ধন ছাড়াই বেতন ভুক্ত হয়।
হাড়াভাঙ্গা গ্রামবাসীর পক্ষে লিখিত অভিযোগে খাইরুল ইসলামের ছেলে জিয়ার ছাড়াও বেশ কয়েকজন জানিয়েছেন, দুর্নীতিবাজ এই শিক্ষক আদম ব্যবসার অন্তরালে অসহায় লোকজনকে প্রতারিত করে চাকুরিসহ নানা প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ বাণিজ্য ও সুদ ব্যবসা করে গাড়ি বাড়ীর মালিক বনেছেন। ২০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তিনি আবারও এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে বহাল তবিয়তে চাকুরী করছেন।
গ্রামবাসীর আবেদন, দুর্নীতিবাজ আদম ব্যবসায়ী শিক্ষক নিবন্ধন ছাড়াই এবং ভূঁয়া ইনডেক্সে অভিজ্ঞতা না থাকলেও প্রধান শিক্ষক হিসাবে কিভাবে নিয়োগ পেয়ে বেতনভুক্ত হলেন!
বিষয়টি নিয়ে এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজু আহমেদের সাথে কথা বলতে বার বার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। সচেতন মহলের দাবি, সরেজমিনে তদন্ত সাপেক্ষে নিবন্ধন ছাড়া ও ভূঁয়া ইনডেক্সধারী অবৈধ প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অপসারণ ও উক্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান ফিরিয়ে আনতে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।