মেহেরপুরের গাংনীতে ভূমিহীন হিসেবে সরকারের কাছ থেকে বন্দবস্ত নেওয়া জমির উপর লাগানো গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ভূমি দূস্য ইয়াকুব মালিথা গংয়ের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ জানা গেছে, গাংনী উপজেলার সাহারবাটি কলনীপাড়ার মৃত ওমর মল্লিকের ছেলে মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ সরকারের নিকট থেকে গরিব কৃষক হিসেবে সাহারবাটি মাঠের ৩০ শতক জমি বন্দবস্ত নেয় চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করার জন্য।
সাহারবাটি মৌজার ৯২২২ নং-দাগের জেলা বন্দবস্ত কেস নং-০৯/১২/২০০৫-৬ এবং উপজেলা কেস নং-১৪৩/১২/২০০৪-৫। ৩০ শতক জমি দেশের প্রচলিত আইনের সকল নিয়ম-কানন মেনে একজন গরিব চাষি হিসেবে জীবিকা নিবার্হের জন্য পায়।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এলাকার কয়েকজন ভূমি দূস্য জমিটির উপর ললাটা দৃষ্টি দিয়ে কিছু অনৈতিকভাবে অর্থের দাবি করে। আর দাবিকৃত অবৈধ অর্থ দিতে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে হয়রনাী করার চেষ্টা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
আব্দুল ওয়াদুদ জানান, সাহারবাটি গ্রামের মাঠে ওই জমিটির খারিজ-খাজনা সকল নিয়ম মেনে ভূমি অফিসে দিয়ে আসছি। ন্যায্য জমি বলে আমার নিকট থেকে খাজনা নেয় ভূমি অফিস। তারপরেও সাহারবাটি গ্রামের মৃত ফরাত আলীর ছেলে ইয়াকুব মালিথা কিছু অর্থনৈতিক সুবিধা নিতে নানাভাবে হয়রানী করছে। বিষয়টি আমাকে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালতে বারবার হারার পরেও আপোষ-মিমাংসার নামে অর্থনৈতিক সুবিধা চাই। ফলে আপোষ-মিমাংসা হয় না।
সাম্প্রতিক সময়ে পরিবেশের ভারসম্য রক্ষায় কৃষি আবাদের পাশাপাশি সরকারের নেওয়া বৃক্ষরোপনের কর্মসূচী সফল করতে মেহেগুনী গাছের চারা রোপন করা হয়। কিন্তু রাতের আধারে বেশ কিছু গাছ উপরে দিয়ে চলে যায়।
এব্যাপারে আমরা আইনের আশ্রয় নিতে গেলে টাকা দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। স্থানীয় চারচারার প্রভাবশালী গরু ব্যবসায়ী রহেদ আলীর ছেলে কালু বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েও যাচ্ছে। বিষয়টি সমাধানে পুলিশ-প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগি পরিবার।
-নিজস্ব প্রতিনিধি