যৌতুকের দাবীতে আবারো আগের মতই নির্যাতন আর অত্যাচার। শুধু আমাকে নয়, আমার এক মাস ২২ দিন বয়সী ছেলে সামিরকে ফেলে দিয়ে একটি পা ভেঙ্গে দিয়েছে আমার স্বামী। যে কারনে আদালতে মামলা করেছিলাম।
অনেক লোকজন শালিস মিমাংশা করে নতুন করে নিয়ে আসে। কিন্তু সে ভাল হয়নি। ফিরে গেছে মাদকের রাজ্যে। এভাবেই নির্যাতনের বর্ণনা করলেন নির্যাতিত মৌসুমী খাতুন। শনিবার সকালের দিকে স্বামী সুমন হোসেন মৌসুমী খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে বলেন। মৌসুমী টাকা আনতে পারবেনা বলে জানালে শুরু হয় নির্যাতন।
জানা গেছে, প্রায় ৬ বছর আগে গাংনী উপজেলার খাসমহল গ্রামের স্কুল পাড়া এলাকার আবের আলীর মেয়ে মৌসুমী খাতুনের সাথে একই উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে সুমন হোসেনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য মৌসুমীর উপর নির্যাতন করে আসছিল সুমন। ওই সময় মৌসুমীর একটি সন্তান হয়।
এক পর্যায়ে সে সুমন হোসেনকে তালাক দিয়ে পিতার বাড়িতে চলে যায়। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তাদের সংসার পুনরায় জোড়া লাগিয়ে দেন। বাড়িতে নিয়ে এসেই আবারো শুরু করে নির্যাতন। মৌসুমী জানান এবার আর তার সাথে সংসার নয়, এবার তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।