মেহেরপুরের গাংনীতে ২য় শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে (১২) যৌন নির্যাতনের অভিযোগে আক্কাস আলী নামের এক বৃদ্ধকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার বিকাল ৩ টায় উপজেলার বামুন্দীর নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আক্কাস আলী হার্টিকালচারের সাবেক কর্মচারী। হার্টিকালচারে চাকুরী থেকে অবসর নিয়ে ঐ এলাকায় দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছেন। তার নিজ জেলা ঝিনাইদহ।
নির্যাতিতা ছাত্রীর পিতা জানান,লম্পট আক্কাস আলী তার প্রতিবেশি হওয়ার কারনে তাদের বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের যাতায়াত থাকলেও ঘটনার দিন মেয়েকে প্রলোভন দেখিয়ে আক্কাস আলী তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যৌন নির্যাতন করে। ঘটনাটি ধামচাপা দিতে মেয়েকে হুমকিও দেয় লম্পট আক্কাস আলী। মেয়ের শারীরিক অবস্থার দূর্বল হয়ে পড়লে তখন তার মাকে বিষয়টি খুলে বলে এরপর অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ করেছি।
মেয়ের মা জানান,তার নাবালিকা মেয়ে বামুন্দী একটি মাদ্রাসার ২য় শ্রেনীর ছাত্রী তাকে দুদিন আগে লম্পট আক্কাস আলী যৌন নির্যাতন করে। শিশু নির্যাতনকারী নরপশু আক্কাস আলীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
গাংনী থানার এস আই আব্দুল হান্নান বলেন,মেয়ের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দিয়েছে।
যৌন নির্যাতনের ঘটনার বিচার দাবি করে স্থানীয়রা জানান, ৬০ বছর বয়সী ৩ সন্তানের জনক লম্পট আক্কাস আলীর ৩ টা ছেলে ও ঘরে বৌ থাকলেও নাবালিকা মাদ্রাসা ছাত্রীর সাথে যে নির্মম নির্দয় আচরন করেছে তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। যৌন নির্যাতনের শাস্তির দৃশ্যমান হলে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে কেউ সাহস পাবেনা।
গাংনী থানার ওসি মো: ওবাইদুর রহমান জানান,বিষয়টি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। মামলা নথিভুক্ত হওয়ার পর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে মেয়েটিকে।
এছাড়া আক্কাস আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আক্কাস আলী পুলিশের কাছে আটক থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।