মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই শুরু হয়েছে চলতি মাসের ১৮ তারিখ বুধবার থেকে। শুরু থেকেই মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
যাচাই বাছাই কার্যক্রমে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান ছাড়াও রয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: মকবুল হোসেন।
শুরুতে ধানখোলা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয় পরের দিন বামন্দী ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই হওয়ার পর রবিবার গাংনী পৌরসভা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে দ্বিতীয় দিনেও বামন্দী ইউনিয়নের উপস্থিতি ছিল ৩২ জনের মধ্যে মাত্র ১৬ জন। পৌরসভার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ের দিনও ৩৬ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৭ জন।
তবে মুক্তিযোদ্ধা অন্তর্ভূক্তি হওয়ার জন্য যারা আবেদন করেছিলেন তারা নিজেদের মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেও মৌখিক স্বাক্ষাতকারে কেন অনুপস্থিত রয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে পৌর এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা আইয়ুব আলি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে বলেন অনেক মুক্তিযোদ্ধারা আসেননি কারণ তাদের স্বাক্ষী কেউ হতে চাচ্ছেন না। যে কারণে তারা দেখছেন স্বাক্ষী যদি না পাওয়া যায় তাহলে আমাদের স্বাক্ষাতকারে গিয়ে কোন লাভ হবে না একারণে অনেকেই অনুপস্থিত রয়েছেন।
তবে যাচাই বাছাইয়ে দেখা গেছে অনেকেই তারা মুক্তিযুদ্ধের সনদ আনতে ব্যার্থ হয়েছেন। অনেকে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধে অংশ না নিতে পারলেও ইয়ুথ ক্যাম্পে ট্রেইনিং চলাকালীন সময়ে দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে। যে কারণে তারা মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করতে পারেননি। এদের মধ্যেই অনেকেই মুক্তিযোদ্ধা দাবি করলেও ইয়ুথ ক্যাম্পের কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারেননি।
এ বিষয়ে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আমিরুল ইসলাম বলেন, সঠিক প্রমাণাদি বা কাগজ পত্র যোগাড় করতে না পারায় অনেকে নাম দিয়েও স্বাক্ষাতকারে আসেননি তাই উপস্থিতি সংখ্যা কম।
তবে মুক্তিযোদ্ধা ও সচেতন মহল মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাইয়ে সরকার যে পদ্ধাতি গ্রহন করেছেন তাকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। কারণ এতে কেউ ভুয়া ভাবে মুক্তিযোদ্ধা হতে পারবে না।
-গাংনী প্রতিনিধি