মেয়েকে উত্যাক্ত করার প্রতিবাদ ও থানায় অভিযোগ দেওয়ার অপরাধে সেলিম হোসেন নামের এক গ্রাম্য ডাক্তার ও তার ভাই মিলে মেয়ের পিতা আব্দুল মান্নানকে হামলা করে রক্তাক্ত জখম করেছে। আহত আব্দুল মান্নান এখন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মূমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আজ শুক্রবার (৮ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার রামনগর গ্রামে।
স্থানীয়রা জানান, সাইকেল মিস্ত্রি আব্দুল মান্নানের মেয়ে দুবাই প্রবাসীর স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে উত্যেক্ত করে অসছেন একই গ্রামের ফরমান আলীর ছেলে গ্রাম্য ডাক্তার সেলিম হোসেন। ঈদের দিনগত রাতে ওই নারীর কাছে জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করে সেলিম হোসেন। এঘটনায় মেয়ের পরিবারের লোকজন তাকে মারধর করে। এনিয়ে সেলিম ডাক্তার ও তার লোকজন মেয়ের পিতা আব্দুল মান্নানকে নানাভাবে হুমকী ধামকী দিয়ে আসছিল। এঘটনায় আব্দুল মান্নান আজ শুক্রবার বিকালে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। এখবর পাওয়ার পর সেলিম হোসেন তার অপর দুই সঙ্গী একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে সাহাবুল ইসলাম ও আরমান আলীর ছেলে ওয়াসিম হোসনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আব্দুল মান্নানের উপর হামলা চালায়। আব্দুলৈ মান্নানের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপালে তার মাথা দুই ভাগ হয়ে গেছে। পরিবারের লোকজন তাকে প্রথমে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্রের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার এমকে রেজা জানান, তার মাথার মাঝখান থেকে ভাগ হয়ে গেছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর এলাকায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখতে উভয় পরিবারকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মিমাংশার নির্দশ দেওয়া হয়েছে।