গাংনীর সিন্দুরকৌটা গ্রামের বহুল আলোচিত সেই কামাল হোসেনকে (৪০) এবার হামলা চালিয়ে মারাত্বক আহত করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত কামাল হোসেন গাংনী উপজেলার সিন্দুর কৌটা গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে। সে মাথাভাঙ্গা নদী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: এর সভাপতি।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে একটি দোকানে বসে থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষরা তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ৭ জনকে আসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ করেছে গাংনী থানায়।
একই গ্রামের ইউসুব আলী, ইব্রাহিম হোসেন, রতন আলী, শুকুর আলী, রুবেল হোসেন ও দাখিল হোসেন এ হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আহত কামাল হোসেন জানান, মাথাভাঙ্গা নদীতে মাছ চাষকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবৎ একটি পক্ষের সাথে আমার গ্যানজাম চলে আসছে। বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয় একটি দোকানে বসে ছিলাম আমি।
তারা পূর্ব পরিকল্পিকভাবে জোট বেঁধে এসে আমাকে দেশীয় তৈরী ধারাল অস্ত্র দিয়ে মারধর করে। এঘটনায় ওই সাত জনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
তবে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান, নদীর মাছ চাষকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে কামাল হোসেন ওই সব হামলাকারীদের পুষতেন।
সাম্প্রতিক সময়ে মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সদস্য নিয়ে কামাল হোসেনের সাথে হামলাকারীদের শত্রুতা সৃষ্টি হয়। এ শত্রুতার রেশ ধরেই কামাল হোসেনের উপর হামলা চালিয়েছে তার পোষা এসব লোকজন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিট মেডিকেল অফিসার সোহাগ হোসেন জানান, আহত ব্যাক্তির মাথায় আঘাত হওয়ায় বেশ কয়েকটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তবে সে এখন আশংকামুক্ত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সবা চলছে।