মেহেরপুরের গাংনীতে আওয়ামী যুবলীগের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
সোমবার বিকেলে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ গাংনী উপজেলা শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মকবুল হোসেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ মোশাররফ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শফি কামাল পলাশ এর সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন,আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ, মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ইয়াছিন রেজা,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র আহম্মেদ আলি,মটমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাশেম, সাবেক ছাত্র নেতা ইসমাইল হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হাবিব, ছাত্রলীগ নেতা আসিফ ইকবাল অনিক প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বর্তমান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের কর্মকান্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করে বলেন, কয়দিন হলো সংসদ সদস্য হয়ে তিনি আলাদিনের চেরাগ হাতে পেয়েছেন। নির্বাচিত হওয়ার আগেও তিনি বিভিন্ন নেতাদের কাছে হাত পেতে টাকা নিয়েছেন। আর তিনি গাংনীর আওয়ামী লীগকে যারা সু-সংগঠিত করে রেখেছে তাদের বিরুদ্ধে তিনি কথা বলেন।
“সাবেক এমপি মকবুল হোসেন কে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নিয়ে আসা হয়েছে” এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের এমন বক্তব্যকে প্রতিবাদ জানিয়ে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শফি কামাল পলাশ বলেন, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন ৭৩ সালে আলমডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের জি এস ছিলেন ও তার পরিবারের ৭জন সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। আর এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন রাজাকারের ছেলে হয়ে কিভাবে বলে সাবেক এমপি মকবুল হোসেন আওয়ামী লীগ করেনি।
বক্তারা বর্তমান এমপির সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন এমপি সাহিদুজ্জামান বিভিন্ন বিদ্যালয়ে এমপিও ভুক্ত ও শিক্ষক নিয়োগ সহ বিভিন্ন নিয়োগের নামে জনগনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন বলে ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা হুশিয়ারী উচ্চারণ করে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনকে বলেন রাজনীতির মাঠে গঠনমুলোক সমালোচনা করবেন। আওয়ামী লীগের কোন নেতাকে ভয় ভিতি দেখিয়ে লাভ হবেনা। রাজনীতি করতে এসে আপনার সাথে আওয়ামী লীগের পরিচয় জানতে হবেনা। এলাকার জনগন জানে কে কবে থেকে আওয়ামী লীগ করে।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাবলু, সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম বাবু, সাবেক এমপি মকবুল হোসেন এর একান্ত সহকারি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহিদুজ্জামান শিপু, আওয়ামী লীগ নেতা মেহেদি হাসান, যুবলীগ নেতা আনোয়ার পাশা,রবিউল ইসলাম সহ বিভিন্ন ইউনিটে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সহ নেতা কর্মীরা উপস্থিৎ ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরুর আগে জাতীয় ও যুবলীগের দলীয় পতাকা উত্তোলন শান্তির প্রতীক সাদা পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন।
অনুষ্ঠান শেষে কেক কেটে নেতা কর্মীরা একে অপরের মুখে তা তুলে দেন।
গাংনী প্রতিনিধি