গাংনী উপজেলার ধানখােলা ইউনিয়নের মহিষাখোলা গ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগ হাফিজুর রহমান হাফিজ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতাড়ি কুপিয়ে গ্রাম বিএনপির নেতা আব্দুর রহিম (৬৫) ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন (২৭) গুরুতর জখম করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল রবিবার (২৬ জানুয়ারী) দিবাগত রাত ৯টার দিকে গাংনী উপজেলার মহিষাখোলা গ্রামের দক্ষিণ তেঁতুলবাড়ীয়া পাড়ায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহত আব্দুর রহিম ও তার ছেলে ফিরোজ হোসেন প্রথম গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ও পরে সেখান থেকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, আজকে রাতে স্থানীয় মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে কথা চলছিল। এসময় যুবলীগ নেতা হাফিজ ও বিএনপির স্থানীয় নেতা আব্দুর রহিমের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। এর জের ধরে হাফিজ তার লোকজন ধারালো কুড়াল দিয়ে বিএনপি নেতা আব্দুর রহিমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এসময় তার ছেলে ফিরোজ হোসেন তার বাবাকে বাঁচাতে এলে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এসময় গুরুতর আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাদের অ্বস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
তারা আরও অভিযোগ করেন, যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ দীর্ঘদিন যাবৎ তার নিজ ফেসবুকে বিএনপি ও প্রধান উপদেস্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসসহ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উপদেষ্টাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও উস্কানিমুলক পোষ্ট দিয়ে থাকেন।
এদিকে এই হামলার পরপরই গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবলু গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেস্কে আহতদের দেখতে যান এবং চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। তিনি হামলাকারী যুবলীগ নেতা হাফিজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজনকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবী জানান।
এদিকে, এই হামলার পরপরই যুবলীগ নেতা হাফিজুলের বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে বলে ফেসবুকে এসে লাইভ করে অভিযোগ করেছেন তিনি।
হাফিজ ফেসবুক লাইভে বলেছেন, আব্দুর রহিম ও তার লোকজন প্রথমে আমার বাড়িতে হামলা করেছে। আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে মারধর ভাঙচুর করেছে। তবে, লাইভ করার পরপরই পালিয়ে গেছেন হামলাকারী যুবলীগ নেতা হাফিজুর রহমান হাফিজ ও তার লোকজন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে, এলাকায় কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেব্যাপারে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
আহত পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।