মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলামের ঠিকাদারী কাজ বন্ধ করেছে দিয়েছে উপজেলা প্রকৌশলী। রাস্তা নির্মানে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে বুধবার দুপুরে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে রাস্তায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে মানববন্ধন করে এলাকাবাসি।
জানা গেছে, দুইকোটি ব্যায়ে গাড়াডোব-সাহারবাটি সড়কের ২৭শ’ মিটার রাস্তার কার্যাদেশ পায় গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলাম। রাস্তা নির্মানের শুরুতে (সাবগ্রেড প্রস্তুুত হওয়ার পর) নিম্নমানের বালি ও ইটের খোয়া ব্যবহার করে। নিম্নমানের ইট ও মাটি যুক্তবালি ব্যবহারের কারনে এলাকাবাসির তোপের মুখে পড়ে ঠিকাদার মজিরুল ইসলাম। এক পর্যায় ৩ নং ইট সরিয়ে নেয়। পরে আবারো নিম্নমামের ইট ব্যবহার করলে এলাকাবাসি ফুঁসে উঠে পরে মানববন্ধন করে প্রতিকার দাবি করেন।
সাহারবাটি গ্রামের ইদ্রীস আলী বলেন,রাস্তা নির্মানের শুরুতে নিম্নমামের ইটবালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ার কারনে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাইনি। দিনের পর দিন কাজের মান খারাপ হলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা না নেওয়ায় এবার এলাকাবাসি ফুঁেস উঠেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল জানান,২/৩ নং ইট ও মাটিযুক্ত বালি দিয়ে কাজ করছিলো। প্রথমে কিছু ২ নম্বর ইট ফেরত নিলেও আবারো নিম্নমানের ইটবালি দিয়ে কাজ শুরু করেছে। এসব নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হলে রাস্তা টেকসই হবেনা।
সাহারবাটি গ্রামের গাজিউর রহমান জানান,গাংনী প্রকৌশল বিভাগ যথাযথ তদারকি না করার কারনে ঠিকাদার মজিরুল ইসলাম বারবার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছে।
স্থানীয়রা আরো জানান,ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারনে এলাকার মানুষ বাধ্য হয়েই মানববন্ধন করেছে। এবার প্রতিকার না পেলে বিক্ষোভ মিছিল ও গাংনী শহীদ মিনারে অনশন করা হবে। গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন বলেন,নিম্নমানের ইটবালি দিয়ে রাস্তা নির্মান করা হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পাওয়া গেছে। একারনে কাজ বন্ধের নির্দেশ ও নিম্নমানের মালামাল অপসরানের জন্য চিঠি দেয়া হচ্ছে। ইতোপূর্বে ঠিকাদার মজিরুল ইসলাম অন্য একটি কাজে নিম্নমানের সাম্রগী ব্যবহার করার কারনে নানা
বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছিলো। তিনি আরো বলেন,রাস্তাটি তদারকির দায়িত্বে থাকা উপসহকারী প্রকৌশলী আলাউদ্দীন অসুস্থ থাকার কারনে ঠিকাদার নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার সুযোগ পেয়েছে ঠিকাদার।
এ বিষয়ে জানতে গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মজিরুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেনি। মেহেরপুর এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আছাদুজ্জামান বলেন, বিষয়টি এখন পর্যন্ত কেউ অবগত করেনি। খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে কোন ভাবেই নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা।