মেহেরপুরের গাংনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগে দায়ের করা সন্ত্রাস দমন আইনে মামলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা ফিরাজুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে ফিরাজুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফিরাজুল ইসলাম গাংনী উপজেলার বাহাগুন্দা গ্রামের গোয়ালপাড়া এলাকার গোলাম শাহ’র ছেলে ও ধানখোলা ইউনিয়নের বাহাগুন্দা গ্রাম আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাংনী পৌরসভার চৌগাছা গ্রামের রেজানুল হক বাদী হয়ে ধারা ২০০৯ সাল (সংশোধনী ২০১২) এর সন্ত্রাস বিরোধী আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬)(ক)৭(৬)(খ)/১০/১১/২/১৩ ধারায় সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার গাংনী থানার মামলা নং ১১, তারিখ ২০/০৮/২৪ ইং।
এই মামলায় অজ্ঞাত আসামি হিসেবে ফিরাজুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত অফিসার উপপরিদর্শশক (এসআই) নিখীল চক্রবর্তী।
আজ বুধবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃত ফিরাজুল ইসলামকে আদালতে নেওয়া হবে।
এর আগে এই মামলায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক ও প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক শফিকুল আলমকে গ্রেফতার করে র্যাব-১২।
মামলার আসামি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম জামিনে মুক্তি পেলেও সেই থেকে জেল হাজতে রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
বিএনপি ও জামায়াতের স্থানীয় নেতাকর্মীদের পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ বাড়ি ঘরে হামলা ভাঙচুর করে আসছিল সে। ২০১৯ সালে বিএনপি নেতা নুর ইসলামের বাড়িতে তাঁর নেতৃত্বে আগুন দিয়ে ৪ টি গরু হত্যা করে।
এছাড়া নুর ইসলামের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে। ফিরাজুল ইসলামের ভয়ে বিএনপি জামায়াতের অনেক নেতাকর্মী এলাকা ছাড়া হয়েছিলেন।