সহকর্মি শিক্ষিকার হাত থেকে বাঁচতে অবশেষে গাংনী থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করলেন সহকারি শিক্ষিকা লাবনী খাতুন। অব্যাহত হুমকী ধামকী ও অশালিন ভাষায় গালিগালাজের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিস ও গাংনী থানায় এই জিডি করেন তিনি।
ঘটনাটি গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অভিযুক্ত শিক্ষিকা শাম্মী আরা খাতুন একই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা ও ধানখোলা গ্রামের সাজেদুল আলমের স্ত্রী। এঘটনায় গাংনী থানার সাধারণ ডাইরি (জিডি) নং ৫৭০।
ডাইরিতে লাবনী খাতুন অভিযোগ করেস, গত ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় চলাকালিন সময়ে বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে গানী উপজেলার হাড়িয়াদহ সরবারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা শাম্মী আরা খাতুন, ওই বিদ্যালয়ের অপর শিক্ষিকা লাবনী খাতুন ও অন্য দুই শিক্ষিকা মিনারা আফরোজ ও শারমীন সুলতানাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগাল করেন।
গালিগালাজের প্রতিবাদ করাই শাম্মী আরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনেই লাবনী খাতুনকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকী দেন। এর আগে গত বছর শীতের সময়ে তাকে ভ্যান চালকদের দিয়ে শায়েস্তা ও আগুনে পুড়িয়ে মারার হুমকী প্রদান করেছিলেন। ভ্যান চালকদের সাথে তার চুক্তি হয়েছে বলেও হুকীর সময়ে বলেন ওই শিক্ষিকা।
এই ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক শাম্মী আরার সাথে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি শুনতে হলে স্কুলে আসতে হবে। আপনি স্কুলে আসেন তারপর শুনবেন। তিনি আরও বলেন, সব শিক্ষক তো আর তার হয়ে যায়নি।
এব্যাপারে গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা আছে। তবে, এঘটনায় ক্লাষ্টার অফিসার আলাউদ্দীনকে তদন্ত করতে পাঠানো হয়েছিল। সে এখনো আমাকে তদন্ত রিপোর্ট দেইনি। তদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।