মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুরের ধলা গ্রামে শিশু ইরান বাদশা হত্যার দায়ে আহম্মেদ শরিফ ওরফে দিপু নামে এক ব্যক্তিকে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।
মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ করে বৃহস্পতিবার (০১ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি ফাতেমা নজীবের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ। আসামি পলাতক থাকায় তার পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী হাফিজুর রহমান খান।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, গাংনী উপজেলার রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের ইমদাদুল হকের স্ত্রী রেনুকা বেগমের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক ছিল দিপুর। তাদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায় রেনুকার ছেলে ইরান বাদশা।
এ কারণে ২০১১ সালের ৪ আগস্ট বিকেলে স্থানীয় স্কুল মাঠ থেকে কৌশলে ইরানকে অপহরণ করে দিপু। ওই রাতেই তিনি পার্শ্ববর্তী মাঠের পাট খেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন ইরানকে।
ওই দিন সন্ধ্যায় গ্রামবাসী সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ করেও ইরানকে কোথাও পায়নি। পরের দিন সকালে দিপু স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পে জানায় ইরানের মরদেহ মাঠের একটি পাট খেতের আইলে পড়ে আছে।
স্থানীয় ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন ইরানের মরদেহ উদ্ধার করে। এ সময় দিপুর অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে সন্দেহ হওয়ায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
ওই দিনই ইরানের চাচা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গাংনী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দিপুকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার দায় স্বীকার করেন তিনি।
বিচার শেষে ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রবিউল হাসান আসামি দিপুকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।
আহমেদ শরীফ ওরফে দিপু রাধাগোবিন্দপুর ধলা গ্রামের মোস্তাক মণ্ডল ওরফে খোকন মণ্ডলের ছেলে। গ্রেফতারের পর দিপু জামিনে বের হয়ে বর্তমানে গিয়ে পলাতক রয়েছেন।