গত কয়েকদিন ধরে শৈত্যপ্রবাহ ও ঘন কুয়াশার দাপটের পাশাপাশি শীতের তীব্রতা বাড়ায় ঠাণ্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে গত তিনদিনে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। শীতে ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখা গেছে, শীতের কারণে সর্দিজ্বর, কাশি, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা, অ্যালার্জি, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া রোগীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। এদের মধ্যে নারী ও শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে হাসপাতালের বহির্বিভাগ থেকে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে গেছেন নতুন-পুরাতন ১৬০৮০ জন শিশু ও বয়ষ্ক রোগী। এছাড়া গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত কয়েকদিনে প্রায় ২৫৫০ শিশু ও বয়স্করা চিকিৎসা নিয়েছে।
গাংনী হাসপাতালের আরিএমও ডাক্তার এমকে রেজা বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ নারী ও শিশু এবং চার জন বয়স্ক ডাইরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া শতাধিক নারী পুরুষ ও বয়স্ক মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া প্রতিনিয়ত চিকিৎসা নিতে শিশুদের অভিভাবকরা হাসপাতালে ভিড় করছেন। আমরা পর্যাপ্ত চেষ্টা করছি রোগীদের সু-চিকিৎসার দেওয়ার জন্য।
তিনি আরো বলেন, শীত শুরু হওয়ার পর থেকেই শিশুদের নিউমোনিয়া, ডায়রিয়াসহ অন্যান্য শীতজনিত রোগ বেড়ে গেছে। প্রতিদিনই আমাদের হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুরা ভর্তি হচ্ছে। তাই শিশুদের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক থাকা দরকার। শিশুদের ঠাণ্ডা থেকে রক্ষার জন্য ঘরে-বাইরে উপযুক্ত পরিবেশ রাখতে হবে। বাইরে বের হলে অবশ্যই শরীর, মাথা ও কান ভালোভাবে গরম কাপড়ে আবৃত করে নিতে হবে।