গাংনী উপজেলার বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌণ হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে, এ ধরনের গুরতর অভিযোগ ওঠার পরেও অভিযুক্ত শিক্ষক মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেইনি বিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।
ওই শিক্ষকের নাম মিরাজুল ইসলাম। তিনি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) এর নিয়োগকৃত শিক্ষক। তিনি ২০১৯ সালে ওই বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা) বিষয়ক শিক্ষক।
জানা গেছে, গত বুধবার ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম একটি কক্ষে একা পেয়ে জোরপূর্বক তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাতে দেন। তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরে ওই ছাত্রী ক্লাসে উপস্থিত না হয়ে ছাত্রী কমন রুমে অবস্থান নেই। বিষয়টি এক কান দোকান করতে করতে সবাই জানাজানি হয়।
বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার জানান, ভিকটিম ক্লাসে না এসে ছাত্রী কমনরুমে বসে ছিল। অন্যান্য ছাত্রীরা আমাকে জানানোর পর আমি তার সাথে কথা বলতে গেলে শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম তাকে যৌণ হয়রানি চালিয়ে বলে আমাকে জানায়। তিনি বলেন, এঘটনার পর অভিযেুক্ত শিক্ষক মিরাজুল ইসলাম আর স্কুলে আসেনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পরে আমি তাকে মৌখিকভাবে বহিস্কার করেছি। এছাড়া তার বিরুদ্ধে উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানানো হবে। ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আমাকে লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা ছিল। এজন্যও একটু দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি। ঘটনার পাঁচ দিনে পরেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেনো এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেছেন, আমি ওপেন হার্ট করা মানুষ। কালকে বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তপক্ষের কাছে জানাবো।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সভাপতি সাহাবুদ্দীন জানান, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর আমি প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চেয়েছি। ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন। এছাড়া ভিকটিমের বড় বোন আমাকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানিয়ে বিচার দাবি করেছেন। আমি সে বিষয়টিও প্রধান শিক্ষকের কাছে বলেছি।
এদিকে শিক্ষক মিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্রীদের যৌণ হয়রানির চেষ্টার একাধিক অভিযোগ উঠেছে। তার এলাকাতেও এধরনের অনৈতিক কাজের একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিচার দাবী ও বিদ্যালয় থেকে বহিস্কারের দাবী জানান অভিভাকরা।