মেহেরপুরের গাংনীতে সব ধরণের পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে সবজির মূল্য আকাশ চুম্বী। সব ধরণের সবজির কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত। মাছ এবং মাংসের দাম কিছুটা উর্ধমূখী।
পেঁপে, শসা আর বেগুনের বাজারে আগুন। সরবরাহ আগের মতো থাকলেও রমজানে সব শ্রেণির মানুষ বাজারে ভিড় করায় চাহিদা বেড়ে গেছে। প্রশাসনিক কোন নজরদারী না থাকায় সবজি বাজার উর্ধ্বমূখী বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতারা।
তবে প্রশাসন বলছে বাজার মনিটরিং করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে ।
গাংনীর বামন্দীসহ কয়েকটি হাট বাজারে দেখা গেছে, রোজা শুরুর আগে যে বেগুন বিক্রি হয়েছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে, সে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি করে।
রমজানের একদিন আগেও শসা বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে। সেই একই শসা রমজানের শুরুতেই বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজি দরে। এছাড়াও, করলা ১২০ টাকা, ঢেঁড়শ ৬০ টাকা, লালশাক ৫০ টাকা, পটল ৮০ টাকা, ও সাদা শাক (ডাটা) ৫৫ টাকা, লেবু ৪৫ টাকা হালি, কাঁচা কলা ৪৫ টাকা, সজনে ডাটা ১২০ টাকা, বাঁধা কপি ৫৫ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। আর গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি।
এদিকে পেঁয়াজ ও আলুর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় সুখসাগর পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা ও দেশিয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচের ঝাঁঝ বেড়েছে বেশ। বর্তমান বাজারে সেটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকা পোয়া অর্থাৎ ১০০ টাকা কেজি। সরকারী দেয়া মূল্য তালিকা থাকলেও তেল, লবন, চিনি, ছোলা, মসলা, বেসন ইত্যাদি কিছুটা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।
রমজানে মাছের দাম বাড়েনি। অন্যান্য দিনে যে দামে মাছ বিক্রি হয় রমজানে সেই দামেই বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারেও মাছের দামে কোন প্রভাব পড়েনি। পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মাছ ১০ থেকে ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে রমজান উপলক্ষে কোন ধরণের মাংসের দাম বাড়েনি।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসূমী খানম জানান, রমাজনের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে একাধিক বার মিটিং করে ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বাজারও মনিটরিং করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার অস্থিতিশীল করার কেউ চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।