মেহেরপুরের গাংনীর ছাতিয়ান গ্রামে ভুয়া কমিশন করে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শাহিন নামের এক ব্যাক্তি। শনিবার বিকেলে ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ডে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, তার পিতা সাবেক সেনা সদস্য জবেদ আলী স্ট্রোক জনিত কারণে প্যারালাইজ্ড ও বাকশক্তিহীন। চিকিৎসার কথা বলে তার বৈমাত্রিক বোন সেলিনা খাতুন ও লিলি খাতুন ভুয়া কমিশন করে গত ১৬-১০-২০২২ ইং তারিখে গাংনী সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি রেজিস্ট্রি করে নেয়। যার দলিল নং- ৮০৭৯/২২। দলিলে সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে মাঠ কবর স্থান ও বাড়িঘর। আর এতে সনাক্তকারী হিসেবে রয়েছেন জনৈক তরিকুল ইসলাম।
শাহিন আরো জানান, তার পিতা জবেদ আলী একজন শিক্ষিত ও সামরিক বাহিনীর সদস্য। কোন কমিশন করতে হলে নিজ বাসস্থানে উপস্থিত হয়ে ও তার সকল ওয়ারিশদের সম্মতিতে ভাগ বন্টন হতে হবে। অথচ বাসস্থানে উপস্থিত না হয়ে কোন তদারকি ও তদন্ত ছাড়াই স্ত্রী ও দুই সন্তানকে বঞ্চিত করে কমিশন করে রেজিস্ট্রি করেছেন সাব-রেজিস্টার। এতে জবেদ আলীর স্ত্রী ও তার দুই সন্তান সম্পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তারা সম্পত্তি ফিরে পেতে ও ভুয়া দলিল বাতিলের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় ইউপি মেম্বর হাফিজুল জানান, জবেদ আলীর দুই স্ত্রী। জবেদ আলী অসুস্থ হবার পর উভয় স্ত্রীর সন্তানরা চিকিৎসা করছেন। চিকিৎসার জন্য দুই মেয়ে তার বাবাকে তাদের জিম্মায় রেখে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কমিশন করে সব সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়েছে। এটি অন্যায় ও বড় ধরণের অপরাধ। সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার পর দুই বোন ও তার লোকজন স্ত্রী ও দুই ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার চেষ্টা করছেন ও নানা ভাবে হুমকী দিচ্ছেন। ওই দুই বোনের সাথে বারবার যোগাযোগ করেও কোন কর্ণপাত করেনি তারা।
গ্রামবাসিরা জানান, জবেদ আলী ছিলেন একজন শিক্ষিত ও মার্জিত ব্যক্তি। সে তার কোন সন্তানকে বঞ্চিত করতে পারেন না। এখন তিনি কথা বলতে না পারায় সুযোগটি হাতিয়ে নিয়েছেন তার সুচতুর দুই মেয়ে। কমিশনও প্রশ্নবিদ্ধ। আসল দলিলে জবেদ আলীর স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও টিপ সহি দেয়া রয়েছে। তা ছাড়া জবেদ আলী কোন কথা বলতে পারেন না। হলফ নামায় তার দুই সন্তান ও এক স্ত্রীর নাম দেয়া নেই। ওয়ারিশ পত্রটিও সঠিক নয় বলে দাবী করেছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গ্রামবাসি উপস্থিত ছিলেন।