মেহেরপুরের গাংনীতে সরকারী গাছ কাটতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পিছু হঠলেন লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন।
গত বুধবার সকাল ১০ টায় গোপালনগর লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাস্তার পাশে একটি গাছ কাটতে গেলে এলাঙ্গি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা বাধা দেয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নানা সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এলাঙ্গি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ টি এস আই মিজানুর রহমান জানান, লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন রাস্তা সংলগ্ন সরকারী একটি মেহগুনি গাছ কাটছে এমন সংবাদ পেয়ে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটতে নিষেধ করা হয়েছে। পুলিশ পৌছানোর পূর্বেই ডালপালা ও গাছের নীচের বেশির ভাগ অংশ কাটা হয়েছে। বনবিভাগ কিংবা স্থানীয় কোন কর্তৃপক্ষের অনুমতির কাগজ দেখাতে পারলে পুলিশ বাধা দেবেনা। সরকারী সম্পদ রক্ষা করার আমার কর্তব্য ও নৈতিক দায়িত্ব। আমি শুধু মাত্র আমার দায়িত্ব পালন করেছি।
লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন জানান,এই গাছটি প্রয়াত প্রধান শিক্ষক নাজমুল হোসেনের হাতে লাগানো। গাছটি স্কুলের ভেবে ফার্নিচার তৈরি করার জন্য কাটার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিলা। এলাঙ্গি পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া গাছ কাটতে নিষেধ করার কারনে গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে শুক্রবার সকাল ১১ টায় গাংনী বন কর্মতার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
গাংনী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার জানান,গাছ যদি বন বিভাগের হয়ে থাকে তাহলে তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবে। আর যদি বিদ্যালয়ের গাছ হয় তাহলে অনুমতি না নিয়ে গাছ কাটা কিংবা চেষ্টার অপরাধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মেপ্র/আরপি