মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে পুলিশের পাহারায় অশ্লীল যাত্রাপালা হয়েছে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার পুরাতন কলেজের পিছনে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত চলে এই যাত্রাপালা।
নাম প্রকাশ করা যাবে না এমন শর্তে জানান, সামাজিক যাত্রাপালা হওয়ার কথা থাকলেও রাত বাড়ার সাথে সাথে অশ্লীল নিত্য দেখা যায়। করোনা কালীন সময়ে যেখানে ওয়াজ মাহফিল প্রশাসনের কাছে অনুমতি পাচ্ছে না সেখানে কিভাবে অশ্লীল যাত্রা পুলিশ কর্মকর্তারা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে চালাতে দিচ্ছে এমন প্রশ্নই জনমত সৃষ্টি হয়েছে।
বাওট গ্রামের এক যুবক জানান, রাত বারোটা পর্যন্ত সুন্দর মতোই সামাজিক যাত্রাপালা হচ্ছিল এর পরেই কিছু খারাপ মেয়ে নিয়ে এসে তারা অশ্লীল গানের সাথে অশ্লীল নৃত্য শুরু করে এসময় এলাকার অনেক যুবকেরা চলে আসে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, মেয়েগুলো বাসা কোথায় আমরা জানি না তাদের ভাড়া করে নিয়ে আসে খারাপ নাচ দেখানোর জন্য।
তিনি আরো জানান, দুজন পুলিশ সদস্য এখানে উপস্থিত থেকে যাত্রাপালায় কোন প্রকার ঝামেলা না হয় তাই পাহারা দিচ্ছিল। বাওট গ্রামের বর্তমান মেম্বার সাহাবুল ইসলামের মুঠোফোনে ফোন দিয়েও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
কুমারীডাঙ্গা ক্যাম্পের এএসআই আসাদুজ্জামান জানান, সাবেক ও বর্তমান মেম্বারগন আমাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছিল যে কারণে আমি চা খেয়ে খেয়ে ডিউটিতে চলে আসি শুকুরকান্দি মাঠে।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সেখানে অনুমতি ছিল কিনা আমার জানা নেই আমি শুধুমাত্র চা খেয়ে চলে এসেছি।উক্ত অশ্লীল যাত্রাপালা সহযোগীতায় ছিলেন সাবেক মেম্বার নিয়ামত আলী, বর্তমান মেম্বার সাহাবুদ্দীন আহমেদ, বাওট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নাইটগার্ড মনিরুজ্জামান মনি, কুমারীডাঙ্গা ক্যাম্পের এএসআই আসাদুজ্জামান, রবিউল ইসলাম, ময়নাল হক, জাহাঙ্গীর আলম, বাবলু, রাজ্জাক প্রমুখ।