মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পলাশী গ্রামের পূর্বপাড়ার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সিঁড়ি ঘরের নিচে মাটি খুঁড়ে ডাম ভর্তি সাড়ে ১২ কেজি গাঁজা, বিদেশী মদ ও ৫শ গ্রাম গান পাউডার সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
মাদক দ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় ওই বাড়ির মালিক হূমায়ন কবিরের ছেলে স্কুল ছাত্র হাসানুজ্জামান (১৫)কে আটক করা হয়েছে। গাঁজা ব্যবসায়ী হুমায়ন কবীর, তার স্ত্রী মালা খাতুন ও তার জামাতা মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের বশির উদ্দীনের ছেলে রাসেল আহমেদ (২৮)পলাতক রয়েছে।
আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারী) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলা দেড়টার সময় গাংনী উপজেলার পলাশী গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় হুমায়ন কবিরের বাড়িতে এ অভিযান চালান পুলিশ।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাবীবসহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ পুলিশের একটি দল অভিযানে অংশ নেন। পরে মেহেরপুর জেলা পুলিশের সার্কেল এসপি অপু সরোয়ার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাদকদ্রব্য জব্দ করেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, হুমায়ন কবিরের বাড়ির সিঁড়ি ঘরের নিচে তিনটা ড্রামের মধ্যে মোট ৬ প্যাকেট গাঁজা, ( সাড়ে ১২ কেজি) একটি বিদেশী অফিসার চয়েজ মদের বোতল, গাঁজা মাপযন্ত্র একটি বিশেষ ধরণের কাঁটা, একটি হাতুড়ি ও প্রায় ৫ শ গ্রাম গান পাউডার সাদৃশ্য বস্তু পুতে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে হুমায়ন কবির, তার স্ত্রী মালা খাতুন ও জামাতা রাসেল পালিয়ে গেছে। বাড়িতে হুমায়ন কবিরের ছেলে হাসানুজ্জামান (১৫)কে আটক করা থানায় নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গাঁজা ব্যবসার মুল হোতা হুমায়ন কবির ও তার জামায় রাসেল আহমেদ। তারা অভিযান চালানোর আগেই পালিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, হুময়ান কবির আগে থেকেই বিভিন্ন মাদক দ্রব্য বিক্রি করে আসছেন। মাঝখানে কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলেন। আবারও গোপনে এ ব্যবসা শুরু করেছেন।তার বিরুদ্ধে এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা আদালতে বিচারাধীন ছিলো।
মাদক উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা প্রক্রিয়াধীন।
গত ২২ জানুয়ারী ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের পাশে অভিযান চালিয়ে ১২ কেজি গাঁজাসহ খাঁসমহল পশ্চিমপাড়া এলাকার বানারুল ইসলাম (২৫), খাঁপাড়া এলাকার করিম খাঁ (৪০) ও কাথুলি গ্রামের বাজারপাড়া এলাকার ফারুক হোসেন (২৬)কে আটক করেছিলেন গাংনী থানা পুলিশ।