পান থেকে চুন খসলেই স্ত্রীকে পেটান কৃষক আব্দুল মালেক। মায়ের কথা শুনে বউ পেটানোর অপরাধে আগের ৩ বউ তাকে তালাক দিয়ে চলে গেছে। চতুর্থ বারের মত গার্মেন্টস কর্মী রিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন ২ বছর আগে। এখন ঘরে একটি সন্তান। মায়ের কথা শুনে প্রায়ই রিয়ার উপর অকথ্য নির্যাতন চালান আব্দুল মালেক।
প্রতিদিনের ন্যায় আজ শুক্রবার দুপুরে রিয়া খাতুনকে তার স্বামী আব্দুল মালেক ও শাশুড়ি ঝাড়ু দিয়ে পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে আত্ম রক্ষার্থে রিয়া খাতুন তার স্বামী আব্দুল মালেকের লিঙ্গ ধরে স্বজোরে টান দেন। এতে স্বামীর পুরুষাঙ্গ উপড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আবীর হাসান বলেন, আব্দুল মালেকের পুরুষাঙ্গ ভিতর থেকে বের হয়ে আসার উপক্রম হয়েছে। তার পুরুষাঙ্গ ৪ টি সেলাই দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত আব্দুল মালেক বলেন, ঘরে একটি মুরগী মলত্যাগ করেছে। এটি আমার মা স্ত্রীকে বললে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করছিল। আমি তাকে নিষেধ করাই আমাকেও গালাগাল শুরু করে। আমি তাকে ঝাড়ু দিয়ে একটি কোপ দেওয়ায় আমার লিঙ্গ ধরে সে টানাটানি শুরু করে।
এদিকে রিয়া খাতুন অভিযোগ করেন আমার স্বামী তার মায়ের কথা শুনে আমার উপর প্রায় নির্যাতন করে আসছিল। আজকে আমার শাশুড়ি ছেলেকে উস্কে দিলে আমাকে মারপিট শুরু করে। নিজের আত্মরক্ষার্থে তার লিঙ্গ ধরে টান মেরে আমি প্রানে বেঁচেছি।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এঘটনায় স্ত্রী রিয়া খাতুনকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আইনগত বিষয় এখন প্রক্রিয়াধীন।