দীর্ঘ দেড় যুগ পরে গাংনীতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালির আয়োজন করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গাংনী উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিনশেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর আগে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আলােচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক।
আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ- সভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন।
সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল হক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, গাংনী পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল হক ইন্সু,পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা,পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামাল উদ্দীন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডাম সুমন, বিএনপি নেতা সোহরাব হোসেন প্রমুখ । সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী।
বক্তারা বলেন, সৈরাচারী ফ্যাসিষ্ট হাসিনা নিরীহ ছাত্র জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যা করেছে। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হবে। পরাজিত খুনি হাসিনার দোষররা এখনো দেশে অশান্তি, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা লিপ্ত আছে।
বক্তারা আরও বলেন, খুনী শেখ হাসিনা পালিয়ে গেলেও দেশের মধ্যে গোপন ষড়যন্ত্র চলছে। সৈরাচারী হাসিনা বিগত ১৭ বছর আমাদের পথে নামতে দেয়নি। আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা নাশকতার মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। মিছিলে উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শত শত নেতা কর্মী অংশগ্রহন করে এবং খুনি হাসিনা বিরোধী নানা শ্লোগান দেয়।