আবারও স্যালোইঞ্জিনা চালিত স্ট্রিয়ারিং গাড়ি লাটা হাম্বার চাকায় স্পৃষ্ট হলো রোজা (৭) নামের এক শিশুর প্রাণ।
রোজা গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের চাতরপাড়া এলাকার সিঙ্গাপুর ফেরত আসাদুজ্জামানের একমাত্র মেয়ে ও গোপালনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেনীর ছাত্রী।
আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) বেলা পৌণে ১১ টার দিকে গাংনী-চাঁন্দামারী রাস্তার আড়পাড়া বাজারের উপর এ দূর্ঘটনা ঘটে।
এঘটনায় আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা আসাদুজ্জামান (৩৮)। স্থানীয় প্রত্যাক্ষদর্শি সানোয়ারা হোসেন জানান,মোটরসাইকেল যোগে নিহত শিশুটির বাবা মাসহ তিনজন যাচ্ছিলেন।আড়পাড়া বাজারের পার হয়ে ধান বোঝায় একটি স্ট্রিয়ারিং লাটা হাম্বাও একেই দিকে যাচ্ছিলো।লাটা হাম্বাকে ওভারটেক করে বের হওয়ার সময় সামনেই পড়ে একজন পথচারী। তাকে বাঁচাতে গিয়ে লাটা হাম্বার সামনের রডের সাথে ধাক্কা লেগে শিশুটি চাকার তলে পড়ে যায়। সাথে সাথে শিশুটিকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতু ঘোষণা করেন। গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক সত্যতা নিশ্চিত করে বলেছেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের ভিত্ত্বিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাবা মায়ের সামনেই পড়ে রইলো রোজা’র নিথর দেহ
বাবা মায়ের সামনেই পড়ে রইলো এক মাত্র শিশু কন্যা রোজা’র নিথর দেহ।বাকরুদ্ধ বাবা পাথর চোখে ফ্যাল ফ্যাল করে শুধুই দেখছে। আর মা মৌসুমি খাতুন বার বার মোর্ছা যাচ্ছেন।শুধু বাবা মা ই নয়, মামা শাকিবুল, নানা আজিজুল হকও শোকে পাথর।
বাবা আসাদুজ্জামান জানান, কয়েকদিন ধরেই নানা বাড়ি বের গ্রামে যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছিল রোজা।আজ সকালে নানা বাড়ি যাওয়ার জন্য সকাল থেকেই সাজছিল সে।আমরা কি জানতাম এটাই ছিল রোজা শেষ সাজু করা।
মামা শাকিবুল জানান, বারবার ফোনে বলছিলো মামা আমি আসছি। তোমার সাথে ঘুরবো। তোমাদের মাঠে যাবো।এখন আমি কাকে সাথে নিয়ে যাবো। কে আমার সাথে ঘুরবে।