গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২ আসামীকে গ্রেফতার র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।
রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে র্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের জনৈক সাইদুর আরেফিনের (আসামীর শশুর) বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাওট গ্রামের সাবেক মেম্বর ও বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাহাবুর রহমান মিন্টু (৪০), ও মোঃ শাহা আলম ওল্টু (২৮)।
আজ সোমবার বেলা ১১ টার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১২) সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি এনামুল হক।
তিনি জানান, গত ৬ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে আধিপাত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে বাওট গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নিহত ও উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হন।
আহতরা হলেন- নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)।
অপরপক্ষের আহত হন, মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার মহিবুল ইসলাম (৬৮), ভাই সাবেক মেম্বর বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম (৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।
এঘটনায় নিহত নাহারুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় এজাহার নামীয় ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৮, ধারা ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
যে কারনে সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ড:
বিগত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগষ্ট সকালে গাংনীতে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল সমাবেশে নিহত নাহারুল ইসলামের ছোট ভাই এনামুল হক অংশ নেন। এঘটনায় বাওট গ্রামের বিএনপি নেতা উজ্জ্বল হোসেন ওইদিন বিকেলে এনামুল হকের মিছিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বলেন, এই ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ করে বিএনপির সু সময় দেখে সবার আগে মিছিলে গেছো। মিছিলে গেলেও বিএনপিতে সুযোগ দেওয়া হবেনা। এনিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হোসেন ও এনামুল হকের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও পরে উজ্জ্বল হোসেনের মুদি দোকানে হামলা করে। এঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।