গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে আপন চাচা শশুর কাজিম উদ্দীন হত্যার অভিযোগ শরিফুল ইসলাম নামের (জামাতা)
এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা আনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকালে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ্ এ রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত শরিফুল ইসলাম কাজীপুর মাঠপাড়া গ্রামের রোমজিতের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে ২০১৩ সালের ২৬ মে সন্ধ্যার দিকে কাজীপুর মাঠ পাড়ার কাজিম উদ্দীন একই এলাকার নাজিমুদ্দিনের চায়ের দোকানে বসে চা পান করছিলেন। চা পান করার পর বিল দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রথমে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শফিকুল কাজিমুদ্দিনের পুরুষাঙ্গ চেপে ধরে। এ সময় তার সহযোগীরা তাকে কিল ঘুষি মারতে থাকে। ঘটনাস্থলে কাজিমুদ্দীনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত কাজিমুদ্দিনের পুত্র আবু সাঈদ বাদী হয়ে গাংনী থানায় ৩০২/৩৪ ধারায় রোমজিতে ছেলে শরিফুল, মওলা বকসের ছেলে রোমজিতে, খোকা দফাদারের ছেলে নাজিম, এলাহি বক্সের ছেলে মজনু, মজনুর ছেলে মনির, নাজিরের ছেলে জিয়া, মাওলা বক্সের ছেলে পচু, নাজিমুদ্দিনের মেয়ে মঞ্জু, মিনা, এবং তার স্ত্রী মহিমাকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ২৮। জি আর কেস নং৩১২/২০১৩। সেসন মামলা নং ১৫০/২০১৫।
পরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন মামলার প্রাথমিক তদন্ত শেষে শরিফুল, মন্জু বেগম, মিনা, মহিমা, রমোজিত, নাজিম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ দাখিল করেন। মামলায় মোট ৯ জন সাক্ষী তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। এতে মামলার এক নম্বর আসামি শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ ৩০৪ ধারার প্রথম অংশে প্রমাণিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত শরিফুল ইসলামেক যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা।
আনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
মামলার অপর আসামি মঞ্জু বেগম, মিনা, মহিমা, রমোজিত এবং নাজিমের বিরুদ্ধে অনিত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত তাদের বেকসুর খালাস দেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে পিপি পল্লব ভট্টাচার্য। এবং আসামির পক্ষে একেএম শফিকুল আলম কৌশলী ছিলেন।