মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি (অতিরিক্ত সচিব) আমির উদ্দিন আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন অভিযোগ করেছে।
গতকাল বুধবার সকালে সাংবাদিকদের কাছে এলাকাবাসী ও নবগঠিত কমিটির সদস্যগণ ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেন।
অভিগোগে বলা হয়েছে সাবেক সভাপতি নিয়ম লঙ্ঘন করে আট বছর একাধারে সভাপতির দায়িত্ব পালন করে গেছেন। তিনি বিদ্যালয়ের সভাপতি থাকার কারণে নিয়ম লঙ্ঘন করে তার পুত্রবধু নাসরিন আক্তার ডলিকে নিয়োগ দেখিয়ে প্রতিমাসে ৬,০০০/= (ছয় হাজার) টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।
বর্তমান কমিটির সভাপতি আব্দুল হান্নান জানান, তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর উক্ত শিক্ষিকার বিদ্যালয়ে কোন অস্তিত্ব না থাকায় তার বেতন ভাতার টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি আরও জানান, সাবেক কমিটির সভাপতির নিকট বিদ্যালয়ের বিগত দিনের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলে তিনি বিভিন্নভাবে গড়িমসি করেন।
এমনকি সাবেক সভাপতি তাঁর পদে পুনরায় বহাল থাকার উদ্দেশ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিভাগীয় পর্যায় থেকে কারণ দর্শানোর ব্যবস্থাও করা হয়। উপস্থিত এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করে বলেন, তিনি সচিব থাকাবস্থায় আমতৈল গ্রামে একটি সরকারী হাসপাতাল নির্মাণ করে দিবেন আমতৈল পালপাড়া গ্রামের মৃত আছের উদ্দিনের ছেলে আযম আলী মোল্লার নিকট থেকে দেড় বিঘা জমি নিজ নামে রেজিষ্ট্রি করে নিয়েছেন এছাড়াও আমতৈল গ্রামে যে রাস্তাটি চলাচলের জন্য ব্যবহার করতেন সে রাস্তাটির আইডি কেটে দিয়ে নিজের বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্তাটি নিয়ে গেছেন।
সাবেক সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা সদস্য না হয়েও বিদ্যালয়ের সাইন বোর্ডে আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও অতিরিক্তভাবে তাঁর নিজের নাম ব্যবহার করে বিদ্যালয়ের নামকরণ করেছেন। এতে এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসীর জিজ্ঞাসা সভাপতি পরিবর্তন হলেই কি বার বার বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন হবে? বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাদ্দেস আলী জানান, বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর হান্নান তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য খুবই আন্তরিক।
তাছাড়া তিনি দায়িত্ব পাওয়ার পর ৫০ ফুট বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও চেষ্টায় বিদ্যালয়টি চারতল ভবনের বরাদ্দ পেয়েছে যা বর্তমানে চলমান রয়েছে। তিনি সব সময় সরকারী যেকোন দিবস পালন ও প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকেন।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়ার জন্য সাবেক সচিব আমির উদ্দিন আহম্মেদের মোবাইল ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন বর্তমান যে কমিটি তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশারের যোগসাজশে অনিয়ম তান্ত্রীকভাবে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এবিষয়ে তিনি যশোর বোর্ডে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছেন বলেও জানান।
গাংনী প্রতিনিধি