হোটেলের ফ্রিজে সাজিয়ে রাখা বিভিন্ন প্রকার খাবার। ক্রেতাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে দেদারসে। আস্থা আর বিশ্বাসে পালে ক্রেতারাও কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। তবে পচা আর বাসি খাবারের বিষয়টি ক্রেতাদের অগোচরে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযানে উঠে এসেছে পচা-বাসি ও মেয়াদোত্তীর্ণ দই, মিস্টি, কোমল পানীয়, পাউরুটি, নুডুলসসহ বিভিন্ন খাবারের দৃশ্য।
মেহেরপুরের গাংনী শহরের আমিন ফুড ভিলেজ ও স্বাধীন ফুড কর্ণার অ্যান্ড মিষ্টান্ন ভান্ডারের খাবারের অনিয়মের চিত্র। ভোক্তা অধিকার সংক্ষণ আইনে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে আদায় করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা জরিমানা। একই সাথে ওই খাবারগুলো নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (১২ জানুয়ারী) দুপুরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ এ ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান সুত্রে জানা গেছে, গাংনী শহরের এই দুটি হোটেল দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। স্থানীয়দের কাছে হোটেল দুটি বেশ জনপ্রিয়। ফলে পণ্য কেনার সময় তেমন কোন যাচাই বাছাই করেন না ক্রেতারা। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোটেল দুটি অনিয়ম করে যাচ্ছিল বলে মনে করছেন অভিযান সংশ্লিষ্ঠরা।
অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, হোটেল দুটির মালিককে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবো। পুনরায় এরকম অনিয়ম পেলে আইনের কঠোর প্রয়োগ করা হবে।