গাংনীর করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের আম বাগান ইজারা নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনায় বন্ধ হয়ে গেছে বাগান ইজারা কার্যক্রম। স্থানীয় লোকজন ও স্বেচ্ছা সেবকলীগের মধ্যে বাক বিতন্ডা ও সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছে। সোমবার বেলা ১১ টার সময় করমদি স্কুল মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, গেল বছর ৯৯টি আমের গাছ ১০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছিলেন স্বেচ্ছা সেবকলীগের রাকিবুল ও আলমগীরের লোকজন। এবারও তারা আগের মতো অল্প টাকায় ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানীয় লোকজন ও কমিটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় টেন্ডার আহবান করেন। রাকিবুল ও আলমগীরের স্বার্থরক্ষা না হওয়ায় তারা অন্যদের সাথে ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়েন।ইজারায় অংশ নেয়া লোকজনের সাথে তাদের ধাক্কা ধাক্কিতে রাকিব আহত হয়।
আহত রাবিক জানায়, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্যকে না জানিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহম্মেদ ও সভাপতি মোশারফ হোসেন বাগান ইজারা দেয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেয়া হয়। বাগানটি গোপনে বিদ্যালয়ের সভাপতি মোশারফ হোসেন তার ভাতিজা করমদি গ্রামের স্বপন, মতিয়ার ও শরিফুলকে গোপনে অল্প টাকায় ইজারা দেয়ার চেষ্টা করেন। এতে রাগান্বিতহয়ে তারা লোহার রড দিয়ে আমাকে পিটিয়ে আহত করেন।
করমদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহাম্মেদ বলেন, ইজারার বিষয়টি এলাকায় মাইকিং ও নোটিশের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। এবছর এলাকাবাসী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের সার্থে প্রকাশ্য ইজারার ব্যবস্থা করেন। ৫০০০ টাকা সিডিউল জমার মাধ্যমে এবার ইজারার প্রক্রিয়া করা হয়। এখানে নয় জন অংশ গ্রহন করেন। রাকিব ও তার লোকজন অল্প মুল্যে বাগান না পেয়ে ইজারায় অংশগ্রহন কারিদের গালিগালাজ করলে মারামারি হয়।
গাংনী থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, এমন একটি বিষয় আমাকে জানানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।