মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেতুঁলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর দক্ষিণ পাড়ার মৃত আয়তাল হকের ছেলে ইমারুল সাথে ৭/৮ বছর আগে বিয়ে হয় বামন্দীর মৃত আব্দুল জলিলের মেয়ে মালেকার (৩৫) সাথে।
বিয়ের পর থেকেই ইমরুল তার স্ত্রী মালেকাকে মাঝে মধ্যে মারধোর সহ শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। স্বামী স্ত্রীর মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে থাকে বলে বিষয়টি আমলে নেয়নি গৃহবধু মালেকার পরিবারের লোকজন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইমরুল গত অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আবরো তার স্ত্রী মালেকা (৩৫) কে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। খবর পেয়ে মালেকার পরিবারের লোকজন সহ বামন্দীর ইউপি সদস্য কামাল হোসেনকে সাথে নিয়ে ইমরুলের বাড়িতে যায়।
এসময় কল্যাণপুর গ্রামের ইউপি সদস্য সহ কয়েক জনের উপস্থিতিতে ইমরুল তার স্ত্রীকে রাখবে না বলে তার স্ত্রীর ব্যবহারের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বুঝিয়ে দেয়। মালেকাকে তার পরিবারের সদস্যরা বামন্দীতে নিয়ে আসে এরপর ১৮ অক্টোবর ২০১৯ গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার গ্রহন করে। যার রেজিঃ নং ৩৫৮/২।
সুচতুর ইমরুল স্ত্রীকে নির্যাতন ও বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার মত অপরাধ মূলক কর্মকান্ড আড়াল করার জন্য তার বাড়ি থেকে মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে তার স্ত্রী, এমন অভিযোগ দাবি করে গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
বামন্দী প্রতিনিধি