মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সম্রাট (১৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীণ এক ছেলে ডাশা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করেছে গর্ভধারিনী মা রোকেয়া খাতুন (৪৫) কে।
গতকাল সোমবার ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের ছানারুল হকের বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।
সম্রাট আলী পীরতলা গ্রামের কৃষক ছানারুল হক ও আহত রোকেনা খাতুনের ছেলে।
সম্রাটের বাবা ছানারুল হক বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আমার স্ত্রী বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় আমার ছোট ছেলে সম্রাট গরুর গোয়ালে থাকা ঘাস কাটা ডাশা দিয়ে তার মাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে। এ সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন খাতুন তা দেখে চিৎকার করে উঠলে বাড়ির বাহিরে থাকা লোকজন ও স্বজনরা এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।
গাংনী থানার ওসি তদন্ত মনোজীত কুমার নন্দী বলেন, ‘সম্রাট একজন মানসিক ভারসাম্যহীণ ছেলে। তাকে আজ দুপুরে গাংনী থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সে নিয়মিত মানসিক রোগের ঔষধ সেবন করে আসছিল। তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।’