গাংনীর গাড়াবাড়িয়া-হিতিমপাড়া খেয়াঘাটে ব্রীজ না হওয়ায় ১৫টির অধিক গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের ব্রীজ নির্মান এখন প্রানের দাবি।
স্থানীয়দের মধ্যে রুহুল আমিন জানান একটি বাঁশের সেতু দিয়ে মারাত্বক ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করছিলল। প্রয়োজনের তাগিদে স্থানীয়রাই বাঁশ খুটি দিয়ে সেতু তৈরী করে কোন রকমে যাতায়াতের ব্যাবস্থা করেছিলেন।কিন্তু এবারের ভারী বর্ষনের ফলে ১৫ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষের যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন বাশের সাকোটিও এবার ভেঙে চুরমার।
গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের বিশিষ্ট সমাজ সেবক হাফিজুল ইসলাম বলেন আমরা গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা কিন্তু আমাদের গ্রামের অনেক মানুষের মাঠের আবাদ পানি অধিকাংশ হিতিমপাগা রামদাসপুর মাঠে যাতায়াত ব্যাবস্থার একমাত্র অবল্ম্বন সাকো টাও ভেঙে গেছে এতে বিপাকে পড়েছি আমরা শত শত কৃষক। এখন আমাদের মুনিষের খাবার, সার, বিষ প্রয়োগ ও সময় মত দিতে পারছি না।যদি দিতে যেতে চাই যেতে হচ্ছে কুলবাড়িয়া শিবপুর ঘুরে অথবা কুতুবপুর ব্রিজ ঘুরে। এটা চাষীদের কাছে অনেক কষ্টের। তাই আমি অনুরোধ করবো আমাতের মাননীয় এম পি মহদোয় সাহিদুজ্জামান খোকন এম পি ও চেয়ারম্যান মহদোয় যেন দ্রুত এই ব্রীজ নির্মানের দিকে সু দৃষ্টি দেন।আমরা শুনেছি ও দেখেছি ব্রীজ নির্মানের জন্য এম পি মহদোয় ও চেয়ারম্যান মহদয় চেষ্টা করছেন তবে দ্রুত করার দাবি রইলো।
এ বিষয়ে আশরাফুল ইসলাম বলেন গরীব মানুষ মাঠে ঝালতুলে আগে মাথায় করেই আনতে পারতাম। কিন্তু এখন ১ বস্তা ঝাল, ঘাস আনতে ১৫০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে আমরা অসহায় গরীব দুঃখি মানুষ পাবো কোথায়। ব্রিজ হবে হবে শুনছি কিন্তু আজো আশায় রয়ে গেলাম।
কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক রেজাউর রহমান জানান অনেক বছরের খেয়া ঘাটটি মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করলেও আজও সু নজর পড়েনি এলজিইডি কর্তৃপক্ষের। ফলে দুটি উপজেলার (সদর ও গাংনী) মানুষের সেতু বন্ধন অধরাই রয়ে গেছে।
গাড়াবাড়িয়া-হিতিমপাড়া বাঁশের সেতটিু দিয়ে দুটি উপজেলার (সদর ও গাংনী) ১৫টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে পারাপার করে থাকে। সেতুটির পশ্চিম পাশের অন্তত ১০ টি গ্রামের মানুষকে নিত্যদিন তাদের কৃষি পণ্য বিপনন, চিকিৎসা ও শিক্ষার্থীদের স্কুল কলেজে যেতে হয় পূর্ব দিকের গাড়াবাড়িয়া গ্রামে। পূর্ব দিকেরও ৫টি গ্রামের মানুষকে নানা কাজে যাতায়াত করতে হয় নদীর অপর দিকের গ্রামগুলোতে। এ বছর ভারি বর্ষনে বাঁশের সেতুটি পানির শ্রতে ভেঙে গেছে। তবে আশার আলো দেখানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক ও কাথুলী ইউ পি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা। ইতিমধ্যে দুই বার কিন্তু মাপ যোগের কাজ ও সম্পন্ন করেছেন। তবে এটি যাতে খুব দ্রুত স্থাপিত হয় সেই দাবি জানায়।
সোহেল আহম্মেদ জানান শিক্ষা,খাৎ কৃষিখাৎ,ব্যাবসাখাতে উন্নয়ন ও প্রসার করতে এই ব্রীজ একমাত্র মাধ্যেম বলে মনে করি।বর্তমানে১২ গ্রামের মানুষের সময়ের দাবি এই ব্রীজ নির্মান।
ছাত্রলীগ নেতা শাহিন আলম বলেন,মেহেরপুর শহর থেকে উত্তরাঞ্চলের সেতু গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যাস্ততম সেতু হচ্ছে গাড়াবাড়িয়া- হিতিমপাড়া সেতু। ভৈরব নদী খননের পর ওই সেতুর আশ পাশে কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দুইটি ব্রীজ নির্মাণ করা হলেও গাড়াবাড়িয়া-হিতিমপাড়া সেতুটি আজও নির্মাণ করা হয়নি। এলজিইডি থেকে বার বার আশ্বাস দিলেও সেতুটি বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেনি কেউ ।
বাঁশের সেতু দিয়ে যাতায়াতকারীরা শিক্ষার্থীরা জানান, ব্রীজ না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। বর্ষার সময় সাঁকো ডুবে গেলে অনেক দুরের রাস্তা কাথুলী ব্রীজ দিয়ে স্কুল কলেজে যেতে হয়। তাতে খরচ বেশি হওয়া সহ পড়াশুনা মারাত্বকভাবে বিঘ্নিত হয়।
বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও আওয়ামীলীগ নেতা হিজরুল ইসলাম বলেন,দুই উপজেলার দু’টি ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের ছেলে-মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য এই ব্রীজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অথচ কম গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ব্রীজ হলেও এই ব্রীজ টি আজও হলোনা। আমরা দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগ দল করছি কখনও কোন চাওয়া পাওয়া রাখিনি। এখন একটাই চাওয়া যেন আমাদের এই ব্রীজ টি দ্রুত নির্মান হয়।আমি দেখেছি আমাদের সুনামধন্য চেয়ারম্যান সাহেব মিজানুর রহমান রানা অনেক চেষ্টা করে এম পি মহদোয় কে অবগত করে ব্রীজের জন্য মাপ যোগ হয়েছিল। কিন্তু এখনও ফল পাইনি তবে আমরা যেন দ্রুত ব্রীজ নির্মান হতে দেখি এটাই দাবি।
মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের ত্রান ও সমাজকল্যান সম্পাদক ও কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মিজানুর রহমান রানা বলেন, শত বছরের পুরাতন এই খেয়া ঘাটটিতে আজও ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। ব্রীজটি নির্মাণ হলে দুই উপজেলার ১৫ টি গ্রামের মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। ব্রীজটি দ্রত নির্মাণের দাবি করে তিনি বলেন এঅঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রানের দাবি ব্রীজ নির্মানের। ব্রীজটি নির্মিত হলে শিক্ষার পাশাপাশি অর্থনেতিক উন্নয়ন হওয়ার পাশাপাশি জনগনের দূর্ভোগ কমবে। আমাদের মাননীয় এম পি মহদোয় ও অনেক চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি আমাদের বলেছেন খুব দ্রুত এই ব্রীজের নির্মান কাজ শুরু হবে।
এ বিষয়ে ৭৪ মেহেরপুর-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মাদ সাহিদুজ্জামান খোকন এম পি জানান গাড়াবাড়ীয়া ব্রীজ নির্মান আমারো প্রানের দাবি আপনারা জানের ইতিমধ্যে দুই বার মাপযোগ কিন্তু হয়েছিল। কিন্তু তারপরই করোনার কারনে সমস্ত অফিসাল কাজ বন্ধ ছিল।তবে ব্রীজ নির্মানের কাজ চলমান হয়তো খুব শিঘ্রই টেন্ডার হবে। আর খুব তাড়াতাড়ি আমার নির্বাচনি এলাকার গাড়াবাড়ীয়া গ্রাম সহ আরো সকল গ্রামের মানুষের কষ্ট লাঘব হবে ইনশাল্লাহ্।