মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়ীয়াতে গলায় ফাঁস দিয়ে কল্পনা খাতুন নামের এক গৃবধধু আত্মহত্যা করেছেন।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তার স্বামীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কল্পনা আজ সকালে তার স্বামী আলেফের সাথে মুরগির মাংস পরিস্কারের কাজ করেন। পরে আলেফ মাঠে যান। এর মাছঝ সে ঘরে প্রবেশ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। কিছুক্ষণ পরে তার দাদি শাশুড়ি বাড়িতে তার অসুস্থ শাশুড়ি কে দেখতে যান। গিয়ে দেখেন ঘরের ভিতরে উচ্চ শব্দে গান বাজছে। অনেক ডাকাডাকির পর শুনতে না পেয়ে ঘরে গিয়ে দেখেন ঘরে গলায় উড়না পেচিয়ে ঝুলে আছেন। তার চিৎকারে প্রতিবেশিরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। পরে গ্রাম্য চিকিৎসককে খবর দিলে তিনি মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে মেয়ের বাবা কাওছার আলী জানান, মাঝে মাঝে পারিবারিক সমস্যা কে কেন্দ্র করে ঝগড়া হতো। আমার মেয়েকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন এই নিয়ে হয়তো ঝগড়া হতো। তবে অল্প দিনে ঝগড়ার ঘটনা ঘটেনি।
এ বিষয়ে স্থানীয়দের মধ্যে শাহীন আলী জানান, আলেপ খুবই ভালো মানুষ । সে এমন কাজ করার মত ছেলে না। আবার ঝগড়া হতেও দেখা যায় নি।
মৃত কল্পনার স্বামী আলেফ জানান, আজ সকালেও তার সাথে ভালো মত কথা হয়েছিল। তারপর আমাকে মাঠে গরুর ঘাস কাটতে যেতে বললে আমি মাঠে চলে যায়। আমার মা কে নিয়ে বাবা হাসপাতালে চিকিৎসা করতে নিয়ে যান। বাড়ি ফাঁকা ছিল কেউ ছিলো না। কিভাবে যে কি হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে গাংনী থানার ইনচার্জ ওবায়দুর রহমান জানান, প্রথমত মেয়ের বাবা মা এবং মেয়ের চাচা জানান তাদের মেয়ের মৃত্যুেতে তাদের সন্দেহ হচ্ছে তার মেয়ে গলায় দড়ি দিতে পারেন না। তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তিতে ময়নাতদন্তের কথা বললে অভিযোগ থেকে সরে আসেন। তারপরও যেহেতু আত্মহত্যা আমরা ময়নাতদন্তের লাশ মর্গে পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে বিষয়টি পরিস্কার হবে।