গাংনীর চাল চুয়াডাঙ্গা জব্দ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নাম সংবলিত কাবিখা প্রকল্পের ১২৬৬ বস্তা চাল জব্দ এতেই সরকার ও দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়েছে। চাল বিক্রি বৈধ হোক আর অবৈধ হোক সেটি পরের বিষয়।
চাল নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে যে প্রকার চালাচালি শুরু হয়েছে তাতে মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার আওয়ামী লীগকে চরম বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে । এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।
বুধবার সকাল সাড়ে দশটার সময় উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এমন কথা বলেছেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার প্রশাসন, সহ বিভিন্ন মহল যখন কঠিন সময় পার করছেন তখন সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য একটি মহল উঠে পড়ে লেগেছে।
তেমনি গাংনি উপজেলা কতিপয় সরকারি দপ্তরের অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে সরকারের সম্পদ লুট করার মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সেই মহলটি গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ও খাদ্য অফিস কে সাথে নিয়ে এ সকল কাজ শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন ,১২৬৬ বস্তা চাউল খাদ্য অধিদপ্তরের বস্তা সংবলিত গাংনী উপজেলার চাউল চুয়াডাঙ্গায় জব্দ হওয়ার ঘটনায় পৃথক পৃথক যে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছে তাতেও জনগণের চোখে ধুলোখেলা হয়েছে।
এম এ খালেক তদন্ত টিমের বিরূপ প্রতিক্রিয়ায় বলেন, একটি শক্ত মহলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে এসে প্রকাশ্যে উপজেলা পরিষদের সামনে টেবিল পেতে পিআইসি দেরকে যেভাবে জিজ্ঞেস করেছেন তারা মুখ খুলতে সাহস পায়নি। তাছাড়া পিআইসি দের মাধ্যমে উত্তোলনকৃত চাউলের বিষয় কিছুই জানেন না বলে গণমাধ্যমকর্মীদের কে জানিয়েছিলেন। তদন্তের নামে টালবাহানা করা হয়েছে বলেও তিনি এসময় মন্তব্য করেন। নিজ এলাকার থেকে চাউল নিয়ে চুয়াডাঙ্গা বিক্রির ঘটনায় তিনি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টি জনগণের কাছে পরিষ্কার করার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানান।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা পরিষদের সদস্য মজিরুল ইসলাম,মহিলা সদস্য শাহানা ইসলাম শান্তনা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশারফ হোসেন, সাবেক গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিতি নেতৃবৃন্দ এসময় পৃথক পৃথক মন্তব্য করেন।
তবে গাংনী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে সরকারি এক পরিপত্রের সূত্র ধরে বলেন, সরকারি কাবিখা প্রকল্পের বরাদ্দকৃত খাদ্যশস্যের ৫০ থেকে ৬০ পার্সেন্ট এমনকি ৭০ পার্সেন্ট বিক্রি করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস।