মেহেরপুর গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া বাজারে দোকানের সার্টারভেঙ্গে ৩টি মুদিখানা, একটি সারের দোকান ও ফিড মিল থেকে থেকে নগদ টাকাসহ ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতের কোন এক সময় মেহেপুরের গাংনী উপজেলার জোড়পুকুরিয়া বাজারে এ চুরির ঘটনা ঘটে। বাজারে নৈশ প্রহরা থাকা অবস্থায় দুর্ধর্ষ চুরি নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জোড়পুকুরিয়া বাজারের চা ও মুদি দোকান ফারুক ষ্টোর ও জাইমা ষ্টোর, সার ডিলার আব্দুল সালাম ট্রেডার্স শার্টার ভেঙ্গে চোরেরা ভেতরে প্রবেশ করে। নগদ টাকা, কসমেটিক্স, সিগারেট ও দামী মালামাল লুটে নিয়ে পালিয়ে যায়। চারটি দোকান থেকে নগদ টাকাসহ আনুমানিক চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুটে নেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানাচ্ছেন ভুক্তভোগীরা।
এদিকে বাজারে দুই জন নৈশপ্রহীরা রাতে পাহারা করেন। তারা ঘটনার সময় কোথায় ছিলেন তা কেউ বুঝতে পারছেন না। ভোরে ডিউটি শেষ করে তারা বাড়ি ফিরে যায়। আজ ভোরের দিকে চায়ের দোকানী কয়েকজন বাজারে চুরির বিষয়টি টের পান।
সাহারবাটি ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাহাবুদ্দিন সাবুদ জানান, প্রতিরাতের ন্যায় নাইটগার্ড তার ডিউটি পালন করে আসছে, এছাড়াও গাংনী থানার পুলিশ প্রতিরাতে বাজারের টহল রাস্তায় টহল দিয়ে আসছে। বিষয় নিয়ে বাজার কমিটি কে নিয়ে একটি শালিশী বৈঠকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মুদি দোকানী হাসমত আলী জানান, প্রতি রাতেই দোকানে টাকা রাখা হয়। দোকান বন্ধ করে গ্রামের বাড়ি যাই রাতে। তাই টাকা বহন করা ঝুঁকি জেনেই দোকানে টাকা রাখি। ৯০-৯৫ হাজার নগদ টাকা, ৮-১০ হাজার টাকা মূল্যের সিগারেট ও অন্যান্য মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে।
চাউল ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম জানান, প্রতিদিনের ন্যয় রাত আটটার দিকে দোকান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়, টাকা বহনের ঝুকি জেনে রাতের নগদ ৩০ হাজার টাকা দোকানে রেখে যাই। নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ ১০ বস্তা চাউল ও অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি হয়েছে।
চা ও ভ্যারাইটি বিক্রেতা ফারুক আহমেদ জানান, আমার দোকানে ২০ হাজার টাকাসহ ও সিগারেট ও প্রসাধনী সামগ্রী চুরি হয়েছে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুর রহমান বলেন, ঘটনা শুনে সেখানে পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-গাংনী অফিস