মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মিলন (৩০)কে গ্রেপ্তার করেছে গাংনী ধলা ক্যাম্প পুলিশের একটি টীম। সোমবার সকালে এসআই নজরুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। মিলন ওই গ্রামের আব্দুল বারির ছেলে। এদিকে মিলনকে ছাড়তে তার পিতার কাছে একলাখ টাকা দাবী করেন এসআই নজরুল ইসলাম। এমন অভিযোগ করেন মিলনের পিতা আব্দুল বারি।
আব্দুল বারি জানান, ঘটনার সময় তার ছেলে বাড়িতে অবস্থান করছিল। হঠাৎ এসআই নজরুল ও সঙ্গীয় ফোর্স মোটর সাইকেল যোগে এসে মিলনকে ধরে ফেলে চোখ বেঁেধ নিয়ে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। কি কারণে ধরা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ করলে কোন উত্তর না দিয়ে আমাদের ধলা ক্যাম্পে যেতে বলেন। সেখানে গেলে আমার কাছে এক লাখ টাকা দাবী করেন এসআই নজরুল ইসলাম। আমি একজন দিনমজুর। আমার ছেলে মিলন একজন পাখি ভ্যান চালক। লকডাউনে বাইরে বের হতে না পারায় ছেলে মেয়ে মানবেতর জীবন যাবন করে মিলন। আমি এক লাখ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে এসআই নজরুল আমার ছেলে মিলনকে ছিনতাইকারী হিসেবে কোর্টে চালান দেয়ার কথা বলে। মিলনকে দুপুরে খাওয়াবে বলেও আমার কাছ থেকে নেন ১০০ টাকা। আমার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা তা জানাতে চাইলে আমাকে ধমক দিয়ে তাড়িয়ে দেন ওই পুলিশ।
এ ব্যাপারে এসআই নজরুলের কাছে মিলনকে গ্রেপ্তার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে মিলনের পিতার কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অনেকে অনেক কথা বলবে তাতে কান দিলে চলে না।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বজলুর রহমান জানান, গেল জানুয়ারী মাসে কালিগাংনীর মাঠ থেকে একটি মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। উক্ত মোবাইল েিছনতাইয়ের ঘটনায় ইতোমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার দেয়া স্বীকারোক্তি মোতাবেক মিলনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম জানান, গ্রেপ্তারের বিষয়টি তিনি জানেন না। কি কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন।