গাংনীর নওপাড়া গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের মারামারিতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। গত রবিবার বিকেল ৫টার দিকে নওয়াপাড়া বাজারে মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
এক পক্ষের আহতরা হলো- নওয়াপাড়া নবীনপরের আবু তালেবের ছেলে সুমন(২৮),সলেমানের ছেলে সাহরী(১৭) ,ভিটাপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মহিবুল(৫০),নবীনপুরের মৃত সোনা মল্লিকের ছেলে খোকন(৫০), ও মোজাম্মেলের ছেলে বিশু।
অন্যদিকে খোকনদের পক্ষের হামলায় আহতরা হলো-নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছহিরুদ্দীনের ছেলে সুমন(২৫), রাজিবুল (৪৫), শহিদুলের ছেলে সায়িম(১৪), একরামুলের ছেলে সাইদ(১৭) আহাম্মদের ছেলে অমিত (১৬) এবং আবুল কাশেমের ছেলে মহিবুল(৩৫)।
আহতদের মধ্যে নবীনপুর গ্রামের আবু জেহেলের ছেলে সুমনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকীদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশিকুর রহমান আহতদের নাম পরিচয় ও চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খোকন ও তার লোকজন জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে নবীনপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে তাফসির মাহফিল চলছিল। এসময় নওপাড়া গ্রামের মৃত ছহিরুদ্দীনের ছেলে সুমনের লোকজন তাফসির শুনতে আসা নারীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। তাদের আচরনের বিষয়টি তাফসির মাহফিলের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছা সেবকরা নিষেধ করলে সুমনের লোকজন স্বেচ্ছা সেবকদের ওপর চড়াও হয় এবং খোকনের ছেলেকে মারধর করে। এ নিয়ে ওইদিন উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ নিয়ে ওই সব ছেলেদের অভিভাবকদের বিষয়টি দেখে তাদের শাসন করা কথা বলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় সুমনের লোকজন।
অন্যদিকে মৃত ছহিরুদ্দীনের ছেলে সুমন ও তার ভাই গ্রাম পুলিশ খেজমত আলী জানায়, তাফসির মাহফিলের দিন যা ঘটেছে তা ছেলেদের মধ্যেকার বিষয়টি ও খানেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু ওই দিন রাতে খোকন ও তার লোকজন আমাদের বাড়িতে আমাদের ছেলেদের মারার জন্য খুজে বেড়ায় এবং বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। তাতে আমাদের বাড়িতে আসলেও আমরা তাদের সম্মান করে কিছুই বলিনি। বরং আমাদের ছেলেদের অনেক বকাঝকা করেছি। রবিবার বিকেলে শহিদুলের ছেলে সায়িম ভাটপাড়া বাজাওে ছাগল বিক্রি করতে গেলে খোকন ও তার লোকজন সায়িমকে মারধর করে। শুধু তাই নয়,নওপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে আমাদের কয়েকজন চা খাওয়ার জন্য দোকানে বসলে খোকন ও তার লোকজন লাঠি শোঠা নিয়ে হামলা করে আহত করেছে।
এবিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নওয়াপাড়া গ্রামের মারামারির খবর শূনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে এপর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পুনরাই যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ কাজ করছে।