গাংনীর পৃথক তিনটি পল্লীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ও পারিবারিক কলহের জের ধরে ৮ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার সকালের দিকে কোদাইলকাটি, দুপুরের দিকে খড়মপুরে ও বিকালের দিকে মোহাম্মদপুর ও ধানখোলা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন মোহাম্মাদপুর গ্রামের রাহিবুল ইসলাম ওরফে রকির স্ত্রী চাঁদনী খাতুন (২২), খরমপুর গ্রামের তৌহিদুল ইসলামের ছেলে মারুফ হোসেন (২৬), রেজাউল হকের স্ত্রীনাসিমা খাতুন (৫২), সিরাজুল ইসলামের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪), আব্দুল বারেক মোল্লার ছেলে আতিয়ার রহমান (৫৫), কোদাইলকাটি গ্রামের দসির উদ্দীনের ছেলে আবুল কাসেম ও মওলা বকস (৪৫) এবং ধানখোলা গ্রামের জমির উদ্দীনের ছেলে উজ্জল হহোসেন (৩০)।
মোহাম্মদপুর গ্রামের আহত চাঁদনী খাতুনের মা রেজিয়া খাতুন জানান, আমার মেয়ের বিয়ের পর থেকে তার শশুর মামুন হোসেন ও শাশুড়ি রাশেদা খাতুন নির্যাতন করে আসছে। মঙ্গলবার দুপুরের দিকে চাঁদনীকে বিনা কারনে, তার শশুর ও শাশুড়ি মিলে বাইলিট দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে।
কোদাইলকাটি গ্রামের আহত কাশেমের স্ত্রী রোকাইয়া ানান, সকালের দিকে পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে জমি মাপতে যান স্থানীয় মাঠে। সেখানে আমার ভাসুর মওলা বকস, রমজান আলী ও তার ছেলে হক সাহেব মিলে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। এসময় মওলা বকসও আহত হন।
এদিকে খড়মপুর গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হন। আহতরা সবাই গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্মরত উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) শরীফুল ইসলাম জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজন ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিলেও অধিকাংশ প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।