গাংনীর বাঁশবাড়ীয়াতে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি আনিচুর জামান লুইচের বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। তার এই নিয়োগ বানিজ্য ও দূনীতির কবল থেকে বিদ্যালয়টিকে বাচানোর জন্য উপজেলা নিবাহী অফিসারের নিকট দূূনীতির কবল থেকে বাঁচানোর জন্য আবেদন করলেন প্রধান শিক্ষক।
গত মঙ্গলবার বিকেলে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক মোছা: নাজমুন্নাহার (মুক্ত)।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আনিসুজামান লুইচ, বিভিন্ন সময়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা হিসেবে নিয়োগ দিচ্ছেন এবং নিয়োগের কোন কাগজপত্র সঠিকভাবে যাছাই-বাছাই করছে না। সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত না নিয়ে প্রধান শিক্ষককে কোন প্রকার না জানিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে বিদ্যালয়ে নিয়ে এসে শিক্ষক-শিক্ষিকা বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল হলেই একজন করে নতুন শিক্ষকের আগমন ঘটে। যা খুবই বির্বতকর।
তাছাড়া বিদ্যালয়ের আয়-ব্যায়ের কোন হিসেব দেয়না। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রেজুলেশন খাতা বাড়ি নিয়ে রাখে। বিদ্যালয়ের হাজিরা স্বাক্ষরও তিনি নিয়ে রেখেছেন কোন শিক্ষকের হাজিরা খাতাও নেই। নিজের ইচ্ছামত বিদ্যালয়টি নিয়ে খেলছে, এটি একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিন্তু উনার সে বিষয়ে মাথা ব্যথা নেই।
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের আসা-যাওয়ার জন্য একটি গাড়ী ক্রয় করার জন্য টাকা তুলা হলেও সে টাকা গায়েব। তাহলে কি হচ্ছে বিষয়টি বুজতে না পেরে গত কয়েকদিন আগে আমি প্রধান শিক্ষক হিসেবে চিঠি দিয়ে বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভায় মিটিং কল করি। কিন্ত তারা অজানা কারণে কেউ হাজির হলেন না। তাদের ফোনেও যোগাযোগ করে কোন প্রকার ব্যবস্থা হল না।
ফলে বাধ্য হয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবার অভিযোগ করি। এবং সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার বাবার দেওয়া জমিতে বিদ্যালয়টি হচ্ছে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ না করে জমি রেজিষ্ট্রি করে দিতেও চাপ দিচ্ছে। বিষয়টি গ্রাম-বাসীর সাথে আলোচনা শেষে আমরা তালা মারার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
এদিকে সহকারী শিক্ষক শারমীন জানান, তাকে প্রথমে দুই লক্ষ টাকা নিয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে আবারো সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য আরো এক লক্ষ টাকা জরুরীভাবে দিতে বলে। তিনি অভিযোগ করেন পরে একজনের নিকট ৮ লক্ষ টাকা নিয়ে তাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকও জানেনা। কিভাবে নিয়োগ হল, কোথায় থেকে নিয়োগ হল কেউই জানেনা। তাই নিয়োগ-বানিজ্যে অতিষ্ট হয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা অভিযোগ করছেন বলে জানান।
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের সভাপতি শেখ আনিসুজ্জামান (লুইস) সাথে যোগাযোগ করলে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিনকে জানান আমি ঢাকায় আছি গাংনী আসার পরে কথা হবে সংবাদটি না লেখার জন্য বার বার অনুরোধ করেন।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলারা রহমান জানান, বিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের নিকট একটি অভিযোগ করা হয়েছে বিদ্যালয় কতিপক্ষের নিকট থেকে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখে তদন্তের জন্য শিক্ষা অফিসারের উপর দায়িত্ব দিয়েছি।
মেপ্র/ইএম