মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের গাংনী উপজেলার বাওট নামক স্থানে ইঞ্জিনচালিত আলগামনের সাথে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আলগামন চালক রবিউল ইসলাম (৩০) নিহত ও তিন মোটরসাইকেল আরোহী মারত্বক আহত হয়েছেন।
নিহত রবিউল ইসলাম গাংনী উপজেলার করমদি গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়া এলাকার আকমল হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন, গাংনী উপজেলার বাওট গোরস্থানপাড়া এলাকার জমির উদ্দীনের ছেলে অন্তর হোসেন (১৪), শফিউল ইসলামের ছেলে সোয়েব আলী (১৬) তার খালাতো ভাই পাশ্বর্তি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামের জুনায়েদ হোসেন (১৮)।
এদের মধ্যে সোয়েব, অন্তর ও জুনায়েদকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছে পরিবারের লোকজন। এছাড়া আলগামন চালক রবিউল ইসলামকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে মারা যান তিনি।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাওট গালর্স স্কুলের সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। আহত অন্তর হোসেন বাওট সোলাইমানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্র, সোয়েব হোসেন এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী ও জুনায়েদ হোসেন দশম শ্রেনীর ছাত্রী।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সাহাবুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য নিয়ামত আলী জানান, সোয়েব, অন্তর ও জুনায়েদ মোটরাসাইকেলযোগে খুলিশাকুন্ডি থেকে নিজ গ্রাম বাওটে আসছিলেন। এসময় আলগামন দ্রুত গতিতে ওভারটেকিং করকে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরাসাইকেল আরোহী তিনজন ও আলগামন চালক সবাই রাস্তার উপর পড়ে মারাত্বক আহত হন। আহতাবস্থায় উদ্ধার করে তাদের হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা।