গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া মহব্বতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মানববন্ধন ও সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন দুটি পক্ষ।
বুধবার (১২ জানুয়ারী) বিকালে পৃথক সময়ে বাদিয়াপাড়া মহব্বতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের ফুটবল মাঠে বর্তমান ব্যাবস্থাপনা কমিটির উদ্যোগে সাংবাদিক সম্মেলন ও বাদিয়াপাড়া গ্রামের মধ্যে পাকা সড়কের উপর প্রতিপক্ষ সভাপতি প্রত্যাশী পক্ষের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিকাল তিনটির সময়ে বাদিয়াপাড়া গ্রামের মধ্যে পাকা সড়কের উপর অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন সভাপতি প্রত্যাশী আক্তারুজ্জামান ঝন্টু নামের স্থানীয় এক ব্যাক্তি।মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, শাহ আলম, আসাদুজ্জামান আসাদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আজিজুল হক, মোসারেফ হোসেন প্রমুখ।তারা দাবী করেন, তারা দাবী করেন, বিদ্যালয়ের ব্যাবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচনের মাধ্যমে কমিটি গঠণ করতে হবে।মানববন্ধনে তারা বলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠিত হয়েছে এটা অভিভাবকরা জানেনা। অভিভাবকদের ভোটের মাধ্যমে ম্যানেজিং কমিটি গঠণ করতে হবে।
অপরদিকে, বিকাল সাড়ে তিনটার সময় বিদ্যালয় মাঠে বর্তমান সভাপতি আব্দুর রশিদসহ ব্যাবস্থাপনা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে তারা বলেন বর্তমান কমিটি প্রায় এক বছর আগে গঠণ হয়েছে। ওই সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ, পূর্বের ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা এক যায়গায় হয়ে সরকারী বিধি মোতাবেক গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠিত হয়েছে।সে সময় সেখানে আক্তারুজ্জামান ঝন্টুও উপস্থিত ছিলেন। এক বছর পরে এ নিয়ে মানববন্ধন করছেন একটি বিশেষ উদ্যোশ্য নিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে সভাপতি আব্দুর রশিদের কাছে ২ লক্ষ টাকা চেয়ে না পেয়ে ঝন্টু আজকে মানববন্ধন করেছে। আক্তারুজ্জামান ঝন্টুকে মাদক কারবারী উল্লেখ করে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ঝন্টু এলাকার একজন শীর্ষ মাদক কারবারী।সে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি গঠণের সময়ে অবৈধ উপায়ে টাকা নেওয়ার জন্য এ ধরণের তৎপরতা চালায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন,রফিকুল ইসলাম পথিক, বাদিয়াপাড়া মহব্বতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক ওহিদুজ্জামান দুলাল, আব্দুস সালাম, অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আমজাদ হোসেন, ওমর ফারুক, আব্দুল কুদ্দুছ, আব্দুস সালাম, মেহেরুল্লাহ প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেলোয়ার হোসেন মুকুল জানান, সরকারী বিধি মোতাবেক স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গের উপস্থিতিতে এবং পূর্বের ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন বসে সকল অভিভাবকের মতামত নিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠণ হয়েছে প্রায় এক বছর আগে। তখন কোনো অভিযোগ দেননি আক্তারুজ্জামান ঝন্টু।এখন বিশেষ উদ্যোশ্যে সে এধরনের কাজ করছে বলেও দাবী করেন প্রধান শিক্ষক মুকুল । তিনি আরও জানান, ঝন্টু কতিপয় ব্যাক্তি নিয়ে মানববন্ধবন করেছেন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও সুনাম ধ্বংশ করার জন্য। এছাড়া আমি তার মানববন্ধনি একটি অনলাইন পোর্টালের ফেইসবুক পেজে দেখলাম ছোট ছোট শিশুদের মানববন্ধনে ব্যবহার করছেন। এটা খুবই দু;খজনক।বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণেরও অনুরোধ জানান তিনি।