গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার তিন ছাত্রী নিরুদ্দেশ হয়েছে। গতকাল ২৮ মে রবিবার সকালে মাদ্রাসার উদ্যেশ্যে বের হয়ে আর বাড়ি ফিরে আসেনি।
নিরুদ্দেশ ওই তিন ছাত্রীরা হলেন, দেবীপুর গ্রামের স্বপ্না, সূর্বণা ও সুমাইয়া।
২৪ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত ওই তিন ছাত্রীর কোনো খোঁজ মেলেনি। অবশেষে ওই তিন ছাত্রীর মধ্যে একজনের পিতা গাংনী থানায় সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেছেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক সাধারণ ডাইরির বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় বামন্দী ইউনিয়নের দেবিপুর গ্রামের ইউপি সদস্য হিরক আহমেদ জানান, উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের বানারুল ইসলামের মেয়ে ও বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী স্বপ্না খাতুন (১৪), একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে ও একই মাদরাসার নবম শ্রেনীর ছাত্রী সূবর্ণা খাতুন(১৫), এবং জামরুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেনীর ছাত্রী সুমাইয়া খাতুন (১৫)। উধাও ওই ৩ ছাত্রী একই সঙ্গে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া-আসা করতেন বলে জানিয়েছে তার অভিভাবকরা।
নিখোঁজ ছাত্রীদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার (২৮ মে) সকালে স্বপ্না, সূর্বণা ও সুমাইয়া নিজ বাড়ি থেকে বামন্দী দাখিল মাদ্রাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে স্কুল ব্যাগ কাধে নিয়ে বের হয়। সন্ধ্যা হয়ে গেলেও তারা বাড়ি ফিরে না আসায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে তাদের পরিবার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য হিরক আহমেদ বলেন, নিখোঁজ ৩ জনের বাড়ি দেবীপুর গ্রামে পাশাপাশি। তারা একসাথে লেখাপড়া-খেলাধুলা করে। হঠাৎ গতকাল তারা মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে ফেরেনি। আমরা গ্রামের মানুষ অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি তবুও তাদের সন্ধান মেলাতে পারিনি।
বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার সুপার মোঃ আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি শারীরিক অসুস্থতার কারনে গতকাল মাদ্রাসায় যেতে পারিনি। তবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি আমাদের প্রতিষ্ঠানের তিন ছাত্রী সুমাইয়া, সূবর্ণা ও স্বপ্না তাদের কেও গতকাল মাদ্রাসায় উপস্থিত হয়নি এবং তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তিন ছাত্রীর পরিবারের লোকজন এসে একটা জিডি করেছে। তারা নিজেরাই নিরুদ্দেস হয়েছে কিনা সেটাও ভাবা হচ্ছে। তবে, তাদের উদ্ধারে জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।