মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দীতে গতকাল শুক্রবার রাতে একটি মাদ্রাসায় ককটেল বিষ্ফোরনের ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপির ১৮জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই রাতে গাংনী থানার এসআই ইসরাফিল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। এদের মধ্যে ৮ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। যার মামলা নং-১২।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- মোঃ শাহ্ আলম (৩৫), পিতাঃ মোঃ আয়ুব আলী, ২। মোঃ শাওন (৪৫), পিতা- মৃত ফজলুল হক, ৩। মোঃ মহিবুল ইসলাম পলাশ (৫০), পিতা- মৃত বদরুল আলম (ভাদু), সর্ব সাং- নিশিপুর, ৪। মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৫), পিতা- মৃত আজিজুল হক, সাং- বামন্দী, ৫। মোঃ আব্দুল হক (৪০), পিতা- মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, সাং- বেতবাড়িয়া সরদারপাড়া, ৬। মোঃ মনিরুজ্জামান (৫৪), পিতা- মোঃ তাজের আলী মোল্লা, সাং- কাড়াইগাছি, ৭। মোঃ কামরুজ্জামান (৪৭), পিতা- মৃত আব্দুর রহমান, সাং- গাড়াবাড়িয়া এবং তদন্তপ্রাপ্ত সন্ধিগ্ধ আসামী হিসেবে গ্রেফতার করেন ৮। আমানুর রহমান আমল ু(৫২), পিতা-মৃত আইয়ুব ফকির,সাং-সাহারবাটি। গ্রেফতারকৃত আসামীদের শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্যঃ শুক্রবার রাত আটটার দিকে গাংনীর বামন্দীর একটি মাদ্রসায় ককটেল বিষ্ফোরণের ঘটেনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে অবিষ্ফোরিত ৫টি ককটেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বিষ্ফোরণের পর পুলিশের অভিযান শুরু হয়। এবং ৮জনকে আটক করা হয়।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা বামন্দীর একটি মাদ্রাসায় গোপন বৈঠক করছিল। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের কাছাকাছি গেলে একটি ককটেল বিষ্ফোরিত হয়। এসময় সেখান থেকে নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থল থেকে অবিষ্ফোরিত ৫টি ককটেল, ২টি দেশীয় অস্ত্র (রামদা) এবং লাঠিসোটা উদ্ধার করা হয়েছিল।
এদিকে উক্ত ঘটনা সাজানো বলে দাবী করে উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দরা জানান, দেশব্যাপি বিএনপির তৃণমুল পর্যায়ে পদযাত্রার হবে গতকাল শনিবার। বিএনপির পক্ষ থেকে এই পদযাত্রা না করতে পারে সেজন্যই গ্রামে গ্রামে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার আতংকে বিএনপির কর্মী সর্মকরা ঘর ছাড়া হয়ে আতংকিত রয়েছেন বলেও উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে দাবী করা হয়েছে।