মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দি ৩০ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই দিনে তিন শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকায় প্রধান শিক্ষককে কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শন দল। গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সমন্বয়ে একটি পরিদর্শন দল এ নিদের্শ দেন। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে দীর্ঘদিন ছুটিথাকার পরেও একযোগে তিন শিক্ষিকার অনুপস্থিতির বিষয়টিতে এলাকাবাসী উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলছেন তারা নৈমত্তিক ছুটি(সিএল) আছেন।
জানাগেছে, মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ভুপেশ চন্দ্র রায়,গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিনসহ একটি পরিদর্শন দল বামুন্দি ৩০ নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে তিন শ্িিক্ষকা লুবেরি আদিলা জুঁই, রেহেনা খাতুন, ও নাসরিন আক্তারকে অনুপস্থিত দেখেন। এসময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেনকে অনুপস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি নৈমত্তিক ছুটির কথা বলে পাশকাটিয়ে যান।
পরে একই সাথে তিন শিক্ষিকার নৈমত্তিক ছুটি কি কারনে দেয়া হয়েছে তা সাত দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলেন পরিদর্শন দলের প্রধান।
এলাকাবাসীরা জানান,করোনাকালীন সময়ে দির্ঘদিন স্কুল ছুটি থাকার কারনে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় পিছিয়ে পড়েছে। এসময়ে একটি স্কুলে তিন শিক্ষিকা অনুপস্থিত থাকলে লেখা পড়া বিগ্নিত হবে। তাছাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়ার মান কমে যাবে। এসকল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়ারও দাবী জানান তারা।
এবিষয়ে সহকারি শিক্ষিকা লুবেরি আদিলা জুঁই এর মোব্ইালে জানতে চাইলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শিক্ষিকা রেহনা খাতুনকে জানতে চাইলে তিনি ঘুমাচ্ছিলেন। তার পরিবারের একজন মোবাইল ফোন রিসিভ করে বলেন তিনি ঘুমাচ্ছেন, শিক্ষিকা নাসরিন আক্তার বলেন তিনি প্রধান শিক্ষকের সাথে ছুটি নিয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, লুবেরি আদিলার ছেলে অসুস্থ থাকায় তাকে ছুটি দিতে হয়েছে। নাসরিন আক্তারের বাড়িতে মেহমান এসেছে এবং রেহেনা অসুস্থ থাকায় তারা ছুটি নিয়ে অনুপস্থিত।
গাংনী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দিন বলেন, আমরা তিন শিক্ষিকার অনপস্থিত থাকার বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার খাতায় লিখিত জবাব দিতে বলেছি। সন্তোষ জনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার ভুপেশ চন্দ্র রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বরেন, আমরা সকাল সাড়ে নয়টার সময় বিদ্যালয়ে গিয়ে তিন শিক্ষিকাকে অনুপস্থিত পেয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ করেছি। তবে দির্ঘ ছুটির পর একযোগে তিন শিক্ষিকার নৈমত্তিক ছুটির বিষয়টি প্রধান শিক্ষক কিভাবে দিয়েছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। তিনি সাত দিনের মধ্যে লিখিত জানাবেন।