গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের সাহাবুদ্দিন ও তুজাম্মেল হক নামের দুই কৃষকের প্রায় দুই বিঘা জমির তুলা ক্ষেত কেটে তছরুপ করেছে দুর্বৃত্তরা্ । আবাদের ওপর দিয়ে মাটি বহনকারি গাড়ি যেতে না দেয়ায় তুলাক্ষেত কেটে দিয়েছে আলেহিম ও তার লোকজন এমন অভিযোগ করেন ক্ষেত মালিক। গতকার শুক্রবার( ০৮ সেপ্টেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে । তবে গ্রাম্য বিরোধের জের ধরে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর জন্য নিজের তুলাক্ষেত কেটে অন্যের মাথায় দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় আলেহিম ও তার লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্থ তুলাক্ষেত মালিক সাহাবুদ্দিন জানান, বেতবাড়িয়া গ্রামের হাঙ্গরের মাঠে আশা মোল্লার একটি জমি কেটে ,মাটি ও বালি বিক্রির কাজ করছিলেন বেতবাড়িয়া গ্রামের আজিজুলের ছেলে আলেহিম ও মিজানুর রহমানের ছেলে আরিফ হোসেন। মাটি বহনকারি ট্রলি ওই মাঠের বিভিন্ন ফসলের জমি নষ্ট করে , মাটি বহন করায় স্থানীয় কৃষকরা ফুঁসে ওঠেন এবং ট্রলি যেতে নিষেধ করেন। এতে রাগান্মিত হয় আলেহিম ও আরিফ হোসেন। ক্ষেত মালিকদের দেখে নেয়ার হুমকি দেয় আলেহিম ও তার লোকজন। আজ শনিবার সকালে অন্যান্য কৃষকরা মোবাইলে জানায় আমাদের তুলা ক্ষেত কেটে দিয়েছে। আমরা বিষয়টি জানতে পেরে জমিতে গিয়ে দেখি আমার এক বিঘা ও আমার প্রতিবেশি তুজাম্মেলের ১৫ কাঠা জমির তুলাক্ষেত পুরোটাই কেটে দিয়েছে। এতে আমাদের কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি ভবানিপুর পুলিশ ক্যাম্পে সংবাদ দিলে ক্যম্পের এসআই মহম্মদ আলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এবিষয়ে গাংনী থানায় একটি মামলার প্রস্ততি চলছে বলেও জানান ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক সাহাবুদ্দিন ও তুজাম্মেল হক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইদুর রহমান জানান, আলেহিম ও তার লোকজন রাতের আধারে বালি ও মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রি করছেন। এতে স্থানী কুষকদের আবাদ নষ্ট হচ্ছে। কৃষকরা তা প্রতিহত করলে আলেহিম ও তার লাকজন দুই কৃষকের তুলাক্ষেত কেটে তছরুপ করেছে। এঘটনায় তিব্র নিন্দাসহ দোষীদের শাস্তির দাবী জানান তিনি।
এবিষয়ে আলেহিম জানান, আমার সাথে সাইদুর মেম্বারের রাজনেতিক প্রতিদ্বন্দিতা রয়েছে। তার প্রতিপক্ষ হয়ে আমি নির্বাচন করে ৭৮ ভোটে ফেল করি। সেই থেকে সাইদুর মেম্বার আমাকে নানা ভাবে হয়রনি করার চেষ্টা করে আসছে। কৃষকদেরকে দিয়ে তাদের আবাদ নষ্ট করে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে চাইছে। তবে সঠিক তদন্ত করার দাবী জানান তিনি। আরিফ হোসেন বলেন, আমি স্কেবিটর নিয়ে যাওয়ার জন্য রাস্তা পাচ্ছিলামনা আলেহিমকে বিষয়টি জানানো হলে তিনি আমার গাড়ি যাওয়ার জন্য রাস্তা চাই। তারা রাস্তা না দিলে আমি সেখান থেকে মাটি কাটা শুরু হওয়ার আগেই গাড়ি সরিয়ে নিয়ে আসি। আমাদের নামে মিথ্যা বদনাম দিচ্ছে সাইদুর মেম্বার ও তার লোকজন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, ক্ষেত নষ্ট করার বিষয়ে জানতে পেরে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিঙেযাগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থঅ নেয়া হবে।